কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই জম্মুর রাজৌরি সেক্টরে জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছিলেন ৬ জন। সন্ত্রাসদমন অভিযানে গতি আনতে পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে ১,৮০০ জনের একটি সিআরপিএফের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল সরকার। শুক্রবার জঙ্গি হামলা হয়েছিল যে জায়গায়, সেখানে পরিদর্শনে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কথা বলবেন জঙ্গি হামলায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে।
এখনও পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যে সফরসূচি নির্ধারিত হয়েছে, তাতে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে বিমানে দিল্লি থেকে জম্মুতে পৌঁছবেন শাহ। তার পর তিনি হেলিকপ্টারে সকাল সাড়ে ১১টায় রাজৌরি পৌঁছবেন। রাজৌরিতে কিছু সময় থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ আবার জম্মুতে ফিরে আসবেন তিনি। সেখানে এসে তিনি রাজভবনে স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। বিকেল ৪টে নাগাদ জম্মু থেকে তাঁর দিল্লিতে ফেরার কথা।
গত মাসেও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা, সিআরপিএফ, এনআইএ-র সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি জম্মুর রাজৌরি এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ধাংড়ি গ্রামে জঙ্গিরা হামলা করে। তাঁদের গুলিবর্ষণের ফলে ৬ জন মারা যান। গুরুতর আহত হন ৯ জন। স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি এসইউভি করে জঙ্গিরা ধাংড়ি গ্রামে আক্রমণ করেন। গাড়ি থেকে নেমে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। তার পর স্থানীয়রা আহতদের রাজৌরির সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে আরও ৩ জন মারা যান। রাজৌরি সেক্টরে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পরেও সন্ত্রাসবাদে কেন লাগাম পরানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। উপত্যকা ছাড়িয়ে জম্মুও কী ভাবে জঙ্গিদের ‘মুক্তাঞ্চল’ হয়ে উঠছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।