অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন শেষ হতেই এ বার ত্রিপুরার নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। আগামিকাল ওই রাজ্যে দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা-সহ রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহ।
আগামী বছর উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে মার্চেই নির্বাচন রয়েছে ত্রিপুরায়। প্রথম বার ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া থাকায় মাঝপথেই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করে দল। ভোটের মুখে রাজ্যে দলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আগামিকালের বৈঠক ডেকেছেন জে পি নড্ডা-অমিত শাহেরা। সূত্রের মতে, আগামিকালের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ, রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিপ্লব দেব। থাকবেন ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক মহেন্দ্র সিংহও।
দেড় বছর বাদেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আগামী বছর আটটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। লোকসভায় জিতে আসার ক্ষেত্রে ওই আট রাজ্যে ভাল ফলের লক্ষ্যে নিয়েই এগোচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘ত্রিপুরায় ভোটের আর চার মাসও বাকি নেই। তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই যাতে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজ্যে দলের কী পরিস্থিতি, প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা কী পর্যায়ে রয়েছে, দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।’’
সব ঠিক থাকলে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি ভাবে এখনও এ বিষয়ে কিছু না-জানালেও, বিজেপি সূত্রের মতে, ত্রিপুরা সফরে গিয়ে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। আগরতলার বিবেকানন্দ মাঠে একটি রাজনৈতিক জনসভায় বক্তব্য রাখার প্রস্তুতিও ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, কালকের বৈঠকে দলীয় প্রস্তুতির দিকটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়টি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।