ছবি: পিটিআই।
এত দিন ঠারেঠোরে বলছিল বিজেপি। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে সরাসরি ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর তকমা দেগে দিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতার পাশাপাশি গ্যাং-এর তালিকায় তিনি জুড়েছেন কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টিকেও।
শনিবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বিজেপি কর্মীদের এক সমাবেশে শাহ বলেন, ‘‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং দেশের ভিতরে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। দু’বছর আগে জেএনইউয়ের ভিতরে এই টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংই স্লোগান তুলেছে যে, ভারতের হাজার টুকরো হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি— এরা সকলেই হল টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং। আপনারা এই নিয়ে বিভ্রান্তিতে ছিলেন। আমি আজ আপনাদের জন্য সহজ করে দিলাম। এরা সকলেই ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চায়। আপনারাই বলুন, আপনারা কি এমন দিল্লি চান, যেটা শাহিন বাগ হবে?’’
অমিত শাহের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে পথ নিয়েছে দেশবাসী তাতে বিপন্ন বোধ করছেন। আমরা সেই বিপন্ন মানুষের পাশে আছি। এটাকেই কি ওঁরা টুকরো করা বলে দেখছেন? আর রাজনীতিতে তৃণমূলের লক্ষ্য জানতে হলে আমাদের নির্বাচনী ইস্তাহার দেখে নিন। আর ওঁরা যা চাইছেন, বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাচ্ছেন না কেন?’’ অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারির মন্তব্য, ‘‘দেশের শাসনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই আসলে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং। তাঁরাই দেশের বিভাজন করছেন।’’
আরও পড়ুন: শাহিন-ভিডিয়ো এ বার মেরুকরণ অস্ত্র বিজেপির
এ দিন শাহিন বাগের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো সম্পর্কে বলতে গিয়েও মমতার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অমিত। বলেছেন, ‘‘আজ একটা ভিডিয়ো প্রচার হয়েছে। এবং একের পর এক নেতারা বলছেন, তাঁরা শাহিন বাগের পক্ষে। ভোটের লোভে তাঁরা এই কথা বলছেন। কিন্তু আমরা কি পুরো দিল্লিকে শাহিন বাগ করতে চাই? কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসপি, বিএসপি, কেজরীবাল এবং কোম্পানি দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। গোষ্ঠী সংঘর্ষ করাচ্ছেন। আপনারা টিভিতে দেখছেন তো? জানেন তো কে দাঙ্গা করছে?’’
শাহিন বাগের আন্দোলনের ইতি ঘটাতে বিজেপি-কে বিপুল ভাবে সমর্থন করার জন্য দিল্লিবাসীদের অনুরোধ জানান শাহ। তিনি বলেন, ‘‘কমল কি বাটন ইতনি জোর সে দাবায়ে কি ৮ ফেব্রুয়ারি কি শামকো হি শাহিন বাগ ওয়ালে উঠ কর চলে যায়ে।’’ (পদ্মফুলের বোতাম এত জোরে টিপুন যে, ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধেই শাহিন বাগওয়ালারা উঠে চলে যায়)।