অমিত শাহ।—ছবি পিটিআই।
আজই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে দিল্লিতে ভোট মূল্যায়নে তাঁর ভুল হয়েছিল। তাই অতীতে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রশ্নে যে ভাবে সুর চড়িয়ে আসন সংখ্যা জানাতেন, তা কৌশলে এড়িয়ে গেলেন অমিত শাহ।
একটি চ্যানেলে আজ অমিতকে বলা হয়, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড কিংবা দিল্লি প্রমাণ করেছে যে ফের কেন্দ্র-বিরোধী আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। দিল্লিতে যে ভাবে অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে টক্কর দিতে হয়েছে বিজেপিকে, তেমনি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে হবে। অমিত বলেন, ‘‘ভুললে চলবে না, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি লোকসভায় ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসনে জিতেছে। প্রায় সমান-সমান। ১৮টি আসন খুব কম নয়।’’ তখন প্রশ্ন করা হয়, ‘‘বাংলা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?’’ এ বার সাবধানি অমিত শাহ। বলেন, ‘‘ওই রাজ্যে ভোট এখনও দেরি আছে। জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোট ঝাঁপাবে বিজেপি। মূল্যায়ন করার এখনও ঢের সময় রয়েছে।’’
দেড় বছরে সাতটি নির্বাচনের মধ্যে ছ’টি রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। আজ অমিতও স্বীকার করেন, ‘‘বেশ কিছু রাজ্যে দল ব্যর্থ হয়েছে। তার মানে এই নয় যে আমাদের ভোটব্যাঙ্ক কমেছে। দিল্লিতে আমরা হেরেই ছিলাম। তা সত্ত্বেও দলের আসন ও ভোট বেড়েছে।’’
কিন্তু কী হবে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে? সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম বিজেপির কথা বলছে, কিন্তু লড়াইয়ে নেমে কংগ্রেস যে রাজ্যগুলি থেকে মুছে গিয়েছে তা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না। আমি কংগ্রেসের নাম নিই, কারণ ওরাই একমাত্র জাতীয় দল।’’