ফাইল চিত্র।
অসমে দু’দফা ভোট হয়েছে। তৃতীয় দফার ভোটের জন্য প্রচারে এসেই অমিত শাহ ঘোষণা করে দিলেন প্রথম দু’দফার ভোটেই তাদের অসম বিজয় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। অসমের বরপেটায় জনসভায় আজ তিনি বলেন, “গত দু’দফার ভোটেই অসমে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। আরও একটা সুখবর দিয়ে রাখছি, বাংলাতেও দিদি যাচ্ছেন, বিজেপি আসছে। দু’শোর বেশি আসন পেয়ে বঙ্গদখল করবে বিজেপি।”
অসমের কাছাড় ও জাগি রোড কাগজকল বন্ধ। সরকারের বিস্তর প্রতিশ্রুতির পরেও তা নিলাম হতে চলেছে। বিজেপির ইস্তাহারে জাগি রোডের কাগজকলের পুনরুজ্জীবনের প্রয়াসের কথা বলা হলেও কাছাড়ের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। অমিত এ দিন ঘোষণা করেছেন, বন্ধ কাগজকল ও সার কারখানা খোলা হবে। অসমের বাঁশশিল্পকে উৎসাহ দিতে এখানকার বাঁশ দিয়ে কাগজ তৈরি করে গোটা দেশে সরবরাহ করা হবে। আত্মনির্ভর করে তোলা হবে অসমকে।
শাহের দাবি, আন্দোলন ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত অসম গড়ে তুলে বিজেপি কথা রেখেছে। বড়ো ও কার্বি জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন। এ বার অসমকে বন্যামুক্ত করার পালা। গুয়াহাটিকেও করে তোলা হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্টার্ট-আপ রাজধানী। সরভোগে আমুলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুধের চিলিং প্ল্যান্ট গড়া হবে। সরভোগে গোরক্ষকদের ঐতিহ্যরক্ষায় গোরখিয়া গোঁসাই থানকে পর্যটনকেন্দ্র করে তোলা হবে।
কংগ্ৰেস-ইউডিএফ জোটের সমালোচনায় শাহের বক্তব্য, অসমের উন্নতি করার কোনও উদ্দেশ্য মহাজোটের নেই। কংগ্রেস বিভাজন ও ঝগড়ার রাজনীতি করে। রাজনৈতিক পর্যটকের মতো রাহুল গাঁধী বেড়াতে আসেন অসমে। তাঁর পক্ষে এ সব করা বা ভাবা সম্ভব নয়। কংগ্রেস জিতলে চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্যে গন্ডার ইতিহাস হয়ে যাবে। সত্রের জমি ফের বেহাত হয়ে যাবে।
শুয়ালকুচিতে হিমন্তবিশ্ব শর্মার হয়ে জনসভা করতে না-পারায় সরভোগ থেকেই শাহ বার্তা দেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে খুব কম রাজ্যই এত ভাল কাজ করেছে। অসমে উন্নয়নের পাশাপাশি নেডার চেয়ারম্যান হিসেবে পুরো উত্তর-পূর্বের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন হিমন্ত।
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হানায় জওয়ানদের মৃত্যুর খবর পেয়ে শাহ বজালি ও শুয়ালকুচির জনসভা বাতিল করে বরপেটা থেকেই দিল্লি ফিরে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত। ওই হানায় কোবরা ব্যাটালিয়নের জওয়ান অসমের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা বাবলু রাভা ও বজালির দিলীপকুমার দাস মারা গিয়েছেন। নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শাহ বলেন, “দুই তরফেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জওয়ানদের পরিবার ও দেশকে বলছি জওয়ানদের রক্তপাত বিফল হবে না। আমাদের লড়াই আরও তীব্র ও জোরদার হবে। আমরা মাওবাদীদের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে পরিণামের দিকে নিয়ে যাব।”