ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, ত্রিপুরা ও অসমের দুই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের পরেই তিপ্রা মথার সর্বোচ্চ নেতা প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মার সঙ্গে আলোচনায় বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা। তিপ্রাল্যান্ডের বিষয়ে সাংবিধানিক সমাধানের যে দাবি মথা তুলেছে, তা নিয়ে আলোচনা চালানোর সিদ্ধান্তই বৈঠকে হয়েছে বলে খবর। প্রদ্যোতের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের আ্শ্বাস দিয়েছেন।
আগরতলায় রাজ্য সরকারের অতিথিশালায় বুধবার ওই বৈঠকে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, ত্রিপুরায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মহেশ শর্মা, মহেন্দ্র সিংহ, উত্তর-পূর্বে দলের কো-অর্ডিনেটর সম্বিত পাত্র প্রমুখ। শপথ অনুষ্ঠানের পরেই শাহ-নড্ডারা প্রদ্যোৎকে ডেকে কথা বলায় রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে, ত্রিপুরার সরকারে মথার যোগ দেওয়া কি এখন সময়ের অপেক্ষা? বিজেপির সম্বিত অবশ্য বলেছেন, ‘‘এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। জনজাতিদের স্বার্থের প্রশ্নে দফায় দফায় আলোচনা চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে।’’ অন্য দিকে, প্রদ্যোতের বক্তব্য, ‘‘তিপ্রাল্যান্ডের সাংবিধানিক সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা আলোচনা হবে, স্বচ্ছ ভাবে এবং সকলকে জানিয়েই হবে। আমরা চাই, নিদিষ্ট সময়সীমা ধরে আলোচনা হোক।’’ এই সঙ্গেই ‘বুবাগ্রা’র (জনজাতিদের ভাষায় মহারাজকে যে নামে ডাকা হয়) সংযোজন, ‘‘আলোচনার কী ফল হচ্ছে, তা না দেখে আমরা সরকারে যাচ্ছি না। কয়েক জনের পদের প্রশ্ন এটা নয়, জনজাতিদের স্বার্থের প্রশ্ন’’। প্রদ্যোতের এই ঘোষণার পরেই সন্ধ্যায় ত্রিপুরার রাজবাড়ি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের বাইরে বাজি ফাটিয়ে উল্লাসে মেতেছেন মথা সমর্থকেরা।
শপথ অনুষ্ঠানের পরে এ দিন উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতেও গিয়েছিলেন বিজেপির শাহ, নড্ডা, মানিকেরা।