অমিত শাহ।—ফাইল চিত্র।
জনসভায় আজকাল তাঁকে সম্বোধন করা হচ্ছে ‘হিন্দুস্তান কা শের’ বলে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর তাঁর সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে সর্দার বল্লভভাই পটেলের। নরেন্দ্র মোদীর পরে ‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবেও তাঁর নাম ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সেই অমিত শাহের নিজের গড়েই আমজনতার থেকে আগেভাগে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা প্রশ্ন নিচ্ছেন! দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরেই সরব কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধীর দলের বক্তব্য, সম্প্রতি আমদাবাদে গিয়েছিলেন শাহ। একটি হাসপাতালে তাঁর মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে। মন্ত্রীমশাইয়ের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতায় মোদী সরকারের প্রকল্প ও তার থেকে সুফল পাওয়ার কথা বলবেন সুবিধাভোগী। অভিযোগ, এমন অনুষ্ঠানেও দর্শকদের ‘সাজানো’ হয়েছিল।
কংগ্রেসের অভিযোগ, অমিতের ওই সভায় ৮০-৯০টি চেয়ার ছিল। তার মধ্যে ১৫টি চেয়ারে আগেভাগেই নীল ফিতে লাগানো ছিল। অন্য কেউ সে সব চেয়ারে বসতে গেলে তাঁদের উঠিয়ে দিয়েছেন সরকারি কর্মীরাই। পরে দেখা যায়, ওই ১৫টি চেয়ারে যাঁরা বসেছেন, তাঁদেরই নাম ঘোষণা করে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর অভিজ্ঞতা শোনানোর কথা বলা হল। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ‘‘গণতন্ত্র, জনসভা, সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন-উত্তর এত দিন হ্যাক করা হয়েছে। এ বারে হাসপাতালের কর্মসূচিও হ্যাক করা হল? তথাকথিত ‘বাহাদুর’ সামান্য প্রশ্নের সামনেই এ ভাবে কাবু হয়ে যান?’’
বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, অমিত শাহ নিজেই দীপাবলির সময় সব নেতা-সাংসদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিজেদের এলাকায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সুফল ভোগকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে। যাঁরা এখনও এর সুফল পাননি, তাঁদের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে যেতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ নিজের কেন্দ্রে একই অনুষ্ঠান করেছেন। তার আগে সরকারি কর্মীরা নিজেদের মতো আয়োজন করে থাকতেই পারেন। তার সঙ্গে মন্ত্রীর কী সম্পর্ক?