ছবি: পিটিআই।
রিয়াং শরণার্থীদের ত্রিপুরায় থাকার ব্যাপারে কেন্দ্রের কোনও আপত্তি নেই| তবু মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ| গত ২৯ নভেম্বর দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ত্রিপুরার রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াং শরণার্থীদের বিষয়টি ওঠে। উল্লেখ্য, রিয়াংদের নিজভূমি, মিজোরামে প্রত্যাবর্তনের সময়সীমা গতকালই শেষ হয়েছে|
আইএনপিটি-র সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা জানান, রিয়াংদের ত্রিপুরাতেই পুনর্বাসিত করার ব্যাপারে তাঁরা অমিত শাহকে অনুরোধ করেন। যাঁরা এই দেশেরই নাগরিক তাঁদের ‘শরণার্থী’ বলা ঠিক বলেও দেববর্মাদের তরফে বলা হয়| পূর্ব ত্রিপুরার বিজেপি সাংসদ রেবতীমোহন ত্রিপুরা বলেন, “সরকার পুরো বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখছে| নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন কারণে রিয়াংরা মিজোরামে যেতে আগ্রহী নয়|” বৈঠকে উপস্থিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও কয়েক দিন আগে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একই অনুরোধ করেন। মিজোরামের ক্ষেত্রে যে পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল, ত্রিপুরাতে সেভাবেই তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার অনুরোধও মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। সে ব্যাপারেও ওই বৈঠকে অমিত শাহ প্রাথমিক আশ্বাস দেন।
এ দিকে, গত দু’মাসে উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর শিবির থেকে ৬১টি পরিবারের ২৪৩ জন এবং কাঞ্চনপুর শিবির থেকে ১১০টি পরিবারের ৬০১ জন ব্রু বা রিয়াং শরণার্থী মিজোরামে ফিরে গিয়েছেন। কাঞ্চনপুরের মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য জানান, আজ থেকে ফের রিয়াং শরণার্থীদের রেশন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফের রেশন চালু করার ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোনও নতুন নির্দেশ আসেনি বলে মহকুমা শাসক জানান।
আরও পড়ুন: এইচআইভি নিয়ে তথ্যে ফারাক কেন্দ্র-রাজ্যে