মাসুদ আজহার
মাসুদ আজহার বির্তকে দু’দিন আগে জড়িয়েছিলেন জহওরলাল নেহরুকে! এ বারে সেই বিতর্কে সনিয়া গাঁধী এবং মনমোহন সিংহকেও টেনে আনলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ!
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা মাসুদ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রয়াসে অতীতের মতো চলতি সপ্তাহেও জল ঢেলে দেয় বেজিং। সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন রাহুল গাঁধী। বাজপেয়ীর আমলে কেন মাসুদ আজহারের মতো জঙ্গিকে ছাড়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গাঁধী। সেই প্রশ্নের জবাবে নিজের ব্লগে
রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করে অমিত বলেন, ‘‘দেশের মানুষের মনোভাবের কথা মাথায় রেখে কন্দহরে আটক ভারতীয় বিমান যাত্রীদের স্বার্থেই মাসুদকে ছাড়া হয়েছিল। সে সময়ে ওই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছিল সব দলই। সহমত ছিলেন সনিয়া-মনমোহনও।’’ আর তাই রাহুলের উদ্দেশে অমিতের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে যে ২৫ জন জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল মনমোহন সরকার, তাতে ছিল শাহিদ লতিফ। সে পঠানকোট হামলার অন্যতম চক্রী। কেন তাদের মুক্তি দিয়েছিল ইউপিএ সরকার?’’ অমিত শাহের অভিযোগ, ভোটের সময়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন রাহুল। অমিতের সুরেই অরুণ জেটলিরও অভিযোগ, রাফাল, বালাকোট, ইভিএম, জিএসটি, নীরব মোদী, বিজয় মাল্য সব ক্ষেত্রেই মিথ্যা খবর প্রচার করছেন বিরোধীরা। বিজেপির দাবি উড়িয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিজেপি এ বারে কাকে নিয়ে টানাটানি করবে, কে জানে!
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর মধ্যেই ভারত জানিয়েছে, চিনের সঙ্গে যত সময়ই লাগুক, মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে ধৈর্য ধরেই দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার। সূত্রের খবর, চিন বিষয়টি নিয়ে বাগড়া দেওয়ায় ভারত হতাশ। কিন্তু মাসুদের বিরুদ্ধে যে সব তথ্যপ্রমাণ আছে, তা দিয়েই তাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের জঙ্গি তালিকাভুক্ত করা যাবে বলে আশাবাদী ভারত।