বন্যায় বিধ্বস্ত ত্রিপুরা। ছবি: পিটিআই।
তিন দশকে এ রকম বন্যা দেখেননি ত্রিপুরার মানুষ। সোমবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা এবং ধসের কারণে সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে ৪০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটারে) শাহ লিখেছেন, ‘‘ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতির জন্য মোদীজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রিম ৪০ কোটি টাকা অনুদানের অনুমোদন দিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অংশ থেকে বন্যার্তদের এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যকে সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি দল, বায়ুসেনার চারটি হেলিকপ্টার, তিন কলাম সেনা পাঠানো হয়েছে।
ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে বুধবার গভীর রাতে একটি বাড়ি ধসে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা দু’টি পরিবারের সদস্য। বৃহস্পতিবার ধস সরিয়ে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যাবিধ্বস্ত পরিবারগুলিকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সোমবার থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার গোমাতী এবং খোয়াইয়ে বন্যা এবং ধসে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১২ বছরের এক কিশোরী এবং এক মহিলা। দু’জন এখনও নিখোঁজ। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ৪৫০টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৫ হাজার জন। রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। তবে ত্রিপুরায় এখনই থামছে না ভারী বৃষ্টি। আট জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।