অমিত শাহ এবং রাহুল গাঁধী।
এক জন ঢুকছেন। আর এক জন বেরোচ্ছেন।
দু’জনেই একে অন্যকে দেখলেন আড়চোখে। কিন্তু না দেখার ভান করলেন। প্রায় গা ঘেঁষে মুখে হাসি রেখে দু’জনেই চলে গেলেন নিজ গন্তব্যে। কথা তো দূর অস্ত্। সামান্য সৌজন্য বিনিময়ও হল না।
উভয়েই দুই জাতীয় দলের সভাপতি। এক জন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। অন্য জন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
আজ দুপুরে সংসদের ৪ নম্বর গেটে এক ফ্রেমে ধরা পড়লেন দু’জনে। সংবাদমাধ্যমের গোটা ফৌজ যেখানে ক্যামেরা হাতে থাকেন নেতাদের অপেক্ষায়। কিন্তু সেই কয়েক সেকেন্ডই বুঝিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদীর জমানায় শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা শুধু রাজনীতিতে নয়। ব্যক্তিগত স্তরেও।
ক’দিন আগেই সনিয়া গাঁধী বলেছিলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় কংগ্রেসের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকলেও পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর ছিল। কিন্তু চলতি জমানাতে শাসক দলের নেতারা বিরোধীদের সঙ্গে কথাই বলে না। এমনকী সরকারের চার বছর হতে চলল, নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনার সুযোগও হয়নি বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন সনিয়া। সিঙ্গাপুরে গিয়ে রাহুলও বলেন, শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে একটি দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। অতীতে যেটি ছিল না। এক বার অমিত শাহও জানিয়েছিলেন, গাঁধীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল নয়।
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সরব রাহুল
কিন্তু দুই দলের অন্য নেতারা কিন্তু আজও স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো নেতাও সনিয়ার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন নিজের বই উপহার দিতে। এখনও কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হলে দু’জনে কথা বলেন। কংগ্রেসের নেতাদের মতে, ব্যতিক্রম শুধু মোদী আর শাহ। তাঁরাই ভারতীয় রাজনীতিতে বিরোধীদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করার চল এনেছেন। এটা তাঁদের অহঙ্কার। যা অচিরেই চূর্ণ হবে। তবে বিজেপির এক নেতার মন্তব্য, ‘‘আজ যদি সংসদের সেই ছবিটি দেখেন, দেখা যাবে অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলার কোনও আগ্রহই দেখাননি রাহুল। ফলে শুধু বিজেপিকেই শুধু দোষ দেওয়া কেন?’’