—ফাইল চিত্র।
গিয়েছেন চিকিৎসার কাজে। কিন্তু নিউইয়র্কে বসেও ব্রিগেডের জোটসভা নিয়ে কলম ধরতে হল নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলিকে। আর জেটলির সেই ব্লগকে অস্ত্র করেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করলেন অমিত শাহ ও দলের ছোট-বড় অন্য নেতারা।
বিরোধী জোটের নেতৃত্বের বিষয়টি খুঁচিয়ে তুলে জেটলি লিখেছেন, ‘‘কলকাতার সভা শুধু মোদী-বিরোধী নয়, রাহুল গাঁধীহীন সভাও বটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও জোটের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার রাহুল, মায়াবতী এবং কে চন্দ্রশেখর রাও। আর এই তিন জনেই থাকেননি সেই সভায়। বাকি যাঁরা ছিলেন, তাঁদের দুই তৃতীয়াংশই বিজেপির সঙ্গে কাজ করেছেন। অনেক প্রবীণ নেতা শেষ বয়সের উচ্চাশা পূরণ করতে চাইছেন। ইতিবাচক কিছু দেওয়ার নেই, শুধু নেতিবাচক রাজনীতিই এঁদের কাজ।’’
জেটলির কথায়, পশ্চিমবঙ্গের ‘দিদি’ যেমন চাইছেন, বাকিরা তাঁকে সমর্থন করুন, একই অভিপ্রায় বাকিদেরও। এ কথা বলেই জেটলি সোজা চলে যান ১৯৭১ সালের ভোটের প্রসঙ্গে। ওই ভোটে ইন্দিরা গাঁধীর বিরুদ্ধে সকলে একজোট হলেও কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ২০১৯-এ মোদীর বিরুদ্ধেও জোট তৈরি হচ্ছে। তবে তা ‘বিশৃঙ্খলার জোট’। কংগ্রেস বলছে, বিজেপি আগে ভেবেছিল একমাত্র উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকের মতো রাজ্যেই শুধু এই জোটের প্রভাব পড়বে। কিন্তু ব্রিগেডে সব নেতাই বলেছেন, একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার কথা। যথা সম্ভব বেশি আসনে। আর সেটাই মোদীর ঘুম ছুটিয়েছে। সে কারণে নিরন্তর আক্রমণ করছেন জোটকে। সিবিআই ও অন্য তদন্ত সংস্থার ভয় দেখাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও এক চিলতে নড়ানো যাবে না বিরোধী জোটকে। কংগ্রেসের আহমেদ পটেল বলেছেন, ‘‘বিজেপির চোখেমুখে ভয় স্পষ্ট। আগে বলত, বিজেপি ৫০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এখন বলছে, হারলে ২০০ বছরও ক্ষমতায় ফিরবে না।’’ শিবসেনা তাদের মুখপত্রে মোদীকে বিঁধে লিখেছে, ব্রিগেড সভায় যাঁরা ছিলেন, ‘‘তৃণমূল নেত্রী-সহ তাঁদের অনেকেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে ছিলেন বিজেপি-শরিক। তাঁদের উপহাস করার দরকার কী! মোদী সরকার দেশের শত্রু নয় ঠিকই, তবে এটা অমরও নয়।’’