উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছেন পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীরা। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। নিরাপত্তার স্বার্থে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বার তা নিয়ে নড়েচড়ে বসল আন্তর্জাতিক মহলও। এই মুহূর্তে কাশ্মীর যাওয়া ঠিক হবে না বলে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করল ব্রিটেন এবং জার্মান সরকার।
ব্রিটিশ বিদেশ দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, এই মুহূর্তে কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে সেখানে। গুলি-বোমা বর্ষণ, গ্রেনেড হামলা এবং অপহরণের মতো ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই এখন জম্মু-কাশ্মীর যাত্রা না করাই ভাল। যদি আকাশপথে যান সে ক্ষেত্রে মূল শহর এবং লাদাখের বাইরে পা রাখা উচিত নয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সিআরপির কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক, পহলগাম, গুলমার্গ এবং সোনমার্গ যাওয়া থেকে সকলকে বিরত থাকার নির্দেশও দেয় ব্রিটেন সরকার। বলা হয়, একান্তই গিয়ে পড়লে সর্বদা সতর্ক থাকুন। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলুন। কোথায়, কখন, কী ঘটছে সে সবের খবর নিন।
আরও পড়ুন: গুজবে কান দেবেন না, রাজ্যে শান্তি বজায় রাখুন, আহ্বান জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল
ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটক, তীর্থযাত্রী, পড়ুয়া এবং শ্রমিকরা কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন। দেশের কেউ এখনও উপত্যকায় রয়ে গিয়ে থাকলে, তাঁদের উদ্দেশে জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের বার্তা, এখনও কাশ্মীরে রয়েছেন যাঁরা, বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকা এবং অমরনাথ যাত্রাপথে যাঁরা রয়েছেন, অবিলম্বে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিন।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার সকালেও কালি লেপা ছিল না ট্রাকের নম্বর প্লেটে, উন্নাও-কাণ্ডে নয়া তথ্য
অন্য দিকে, উপত্যকা প্রশাসনের নির্দেশিকা পেয়ে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তড়িঘড়ি বিমানের টিকিট বুক করতে ছুটে গিয়েছেন তাঁরা। তাতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে শ্রীনগর বিমানবন্দরে। ১৫ অগস্ট পর্যন্ত অমরনাথ যাত্রা চলার কথা ছিল। সেই মতো বিমানের টিকিট বুক করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথে তীর্থযাত্রা ভেস্তে যাওয়ায় এখন টিকিট বাতিল করার হার বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের টিকিটের পুরো টাকাই ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। যাত্রীদের নিরাপদে শ্রীনগরে ফিরিয়ে আনতে বাসের ব্যবস্থা করেছে উপত্যকার পর্যটন বিভাগ।