Jharkhand Political Crisis

বিধায়কদের নিয়ে রাঁচীর রাজভবনে চম্পই সোরেন, সরকার গড়ার আমন্ত্রণ পাবেন কি?

জেএমএমের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে চম্পই জানিয়েছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে তাঁকে সমর্থন জানানো ৪৭ জন বিধায়ককেই রাজভবনে নিয়ে যাবেন তিনি। তাতে সায় মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৭
Share:

রাজভবনে চম্পই সোরেন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

বুধবার রাতে গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে হেমন্ত সোরেনের ইস্তফার পরে রাজভবনে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনপত্র নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতির বিকেল গড়িয়ে যাওয়ার পরে জেএমএন নেতা চম্পই সোরেন আবার গেলেন রাজভবনে। সঙ্গে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের কয়েক জন বিধায়কও।

Advertisement

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে বেরোনোর সময় চম্পই বলেন, ‘‘আমরা ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাঁচীর সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি।’’ তবে ‘সরকার সমর্থক’ বাকি চার জন বিধায়ক কোথায়, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চম্পেইয়ের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম, আরজেডির সত্যানন্দ ভোক্তা এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের বিনোদ সিংহ এবং দলত্যাগী জেভিএম (বর্তমানে কংগ্রেস) বিধায়ক প্রদীপ যাদব।

জেএমএম সূত্রের খবর, ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের নতুন নেতা চম্পইকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানাননি রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। তবে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের বিধায়কদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়। সেই সময় শুরু আগেই রাজভবনে পৌঁছে যান চম্পই এবং তাঁর সঙ্গী বিধায়কেরা। ৪৩ জন বিধায়কের ছবিও প্রকাশ করা হয় জেএমএমের তরফে।

Advertisement

৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ৪৭ বিধায়কের সমর্থন তাঁর পিছনে রয়েছে বলে দাবি চম্পইয়ের। তা সত্ত্বেও ১৮ ঘণ্টা ধরে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন চম্পই। বলেছিলেন, ‘‘অন্য রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে তো মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দু-তিন ঘণ্টা পরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের নেতাকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।’’ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

পাশাপাশি, রাজ্যপালকে হিন্দিতে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, “স্যর, ১৮ ঘণ্টা হতে চলল রাজ্যে কোনও সরকার নেই। এর ফলে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আমরা বিধায়কেরা এবং রাজ্যের মানুষ আশা করছে যে, সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে আপনি একটি জনমুখী সরকার গঠনের জন্য পদক্ষেপ করবেন এবং বিভ্রান্তি থেকে রাজ্যকে বার করে আনবেন।”

প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ৪১। জেএমএম বিধায়ক সরফরাজ আহমেদের ইস্তফার কারণে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৮০। শাসক জোটের রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআইএম লিবারেশন ১। কিন্তু হেমন্ত গ্রেফতার হওয়ার ফলে বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসুর ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement