চলছে নির্মাণ ভাঙার অভিযান। ছবি: টুইটার।
শাহিনবাগ এবং দিল্লির অন্যান্য জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙার বিরুদ্ধে মামলা করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিপিএম। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, বাসিন্দারা এ নিয়ে মামলা করছে না, কেন রাজনৈতিক দল এখানে হস্তক্ষেপ করছে।
নির্মাণ ভাঙার কাজে বাধা দিতে গিয়ে মঙ্গলপুরী থেকে আটক হলেন আম আদমি পার্টি (আপ) বিধায়ক মুকেশ অহলোওয়ত। সোমবার থেকেই শাহিনবাগে পৌঁছে যায় বেশ কয়েকটি বুলডোজার। ২০১৯ সাল থেকে সিএএ আন্দোলনের ভরকেন্দ্র এই শাহিনবাগে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে একাধিক বার বাধার মুখে পড়েছে পুরসভা। অভিযানে নেমেও স্থানীয়দের ধর্না, আপ, কংগ্রেস এবং বামেদের বিরোধিতার মুখে পড়ে আবার বুলডোজার ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুরসভা। তবে এ বার কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়েছে শাহিনবাগ, মঙ্গলপুরীকে। অনবরত স্লোগান, বুলজোজারের সামনে শুয়ে পড়ে এক মহিলার রাস্তা আটকানোর চেষ্টা— সমস্ত প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করে একের পর এক অবৈধ নির্মাণ ভাঙছে পুরসভা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থেকে মঙ্গলপুরীর একের পর এক অবৈধ নির্মাণ ভাঙা শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবাদীদের রুখতে আঁটসাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে শাহিনবাগের বিস্তীর্ণ এলাকায়। অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজে প্রথম দফার কাজ শুরু করেছে দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা (এসডিএমসি)। ১৩ মে পর্যন্ত চলবে এই অভিযান।