রাজস্থানে দুই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে আয়কর হানা।
রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব ঘিরে সঙ্কট বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরে। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিল আয়কর হানা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ঘনিষ্ঠ দুই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। ওই দুই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আয়কর জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই ঘটনায় বরাবরের মতো বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে কংগ্রেস।
অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলটের দ্বন্দ্বযুদ্ধে টালমাটাল কংগ্রেসের রাজস্থানের দুর্গ। দুই নেতার সম্পর্কের ফাটল এতটাই গভীর যে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে হাইকম্যান্ডকেও। এ নিয়ে রবিবার গভীর রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নেতারা দাবি করেন, রাজস্থানে কংগ্রেসের গড় সুরক্ষিত। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই হানা দিল অন্য ‘বিপদ’। সোমবার সকালে অশোকের ঘনিষ্ঠ দুই কংগ্রেস নেতা রাজীব অরোরা এবং ধর্মেন্দ্র রাঠৌরের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। তাঁদের মধ্যে রাজীব অরোরা রাজস্থান কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এ দিন ভোরে দিল্লি, জয়পুর, কোটা এবং মুম্বইয়ে হানা দেন আয়কর বিভাগের অন্তত ৮০ জন আধিকারিক। তার মধ্যে জয়পুর এবং কোটায় ওই দুই কংগ্রেস নেতার অফিস ও বাড়িতে আয়কর বিভাগ হানা দেয় এ দিন। কোনও কোনও সূত্রের মতে ৫টি ও কোনও কোনও সূত্রের মতে ২২টি জায়গায় হানা দেয় আয়কর বিভাগ।
আরও পড়ুন: সনিয়া-রাহুল আলোচনায় রাজি, সচিনকে বার্তা সুরজেওয়ালার
এই ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা। তীব্র শ্লেষ মিশিয়ে টুইটও করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত বিজেপির উকিলরাও যোগ দিল। জয়পুরে আইটি রেড হয়েছে। ইডি কখন আসবে?’’ আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর, প্রচুর টাকা লেনদেনের খবর ছিল। এর সঙ্গে কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠীও জড়িত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যাচ্ছি না’, দলবদলের জল্পনার মাঝেই বলছেন সচিন