প্রতীকী ছবি।
অতিমারির আবহেও চলছে প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন তৈরির কাজ। নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের অন্তর্গত এই কর্মসূচিকে ‘অত্যাবশকীয় পরিষেবা’র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের একটি সূত্রে জানাচ্ছে, লকডাউনের সময়ও যাতে নির্মাণের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে, সেই উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত। দিল্লি জুড়ে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রে এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন ও সচিবালয় তৈরির কাজ শেষ করতে চায় কেন্দ্র। নির্মাণের কাজ শেষ হলেই প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ৭ লোককল্যাণ মার্গের সরকারি বাংলো ছেড়ে নয়া বাসভবনে চলে আসবেন। করোনা পরিস্থিতিতে বিপুল ব্যয় করে এই নির্মাণ নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি মোদী সরকার। ৩০,৩৫১ বর্গমিটার জুড়ে গড়া প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন ও সচিবালয় কমপ্লেক্সে থাকবে ১০টি ৪ তলা বাড়ি। যার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ১২ মিটার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট’ (সিপিডব্লিউডি)-কে।
প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্র ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের জন্য ১৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ধার্য করেছে কেন্দ্র। তবে তা ২০ হাজার কোটি ছুঁতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে নয়া সংসদ ভবন এবং উপরাষ্ট্রপতির নয়া বাসভবনও। সেই কাজ আগামী বছর মে মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। পুরো প্রকল্পটি হবে ১৫ একর চত্বর জুড়ে। নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য পৃথক আবাসন নির্মাণ হবে ২. ৫০ একর এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী-উপরাষ্ট্রপতি-সহ মোট ৪৬ হাজার মানুষের আবাসন হবে এই প্রকল্পে।