ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রবীণ আমলা অমরজিৎ সিংহ। ২০১৯-এ দ্বিতীয় বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে অমরজিৎ তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পদত্যাগ করলেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমরজিৎ সিংহ ও ভাস্কর খুলবেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অমরজিৎ ও ভাস্কর, দু’জনেই ১৯৮৩ ব্যাচের আইএএস অফিসার। অমরজিৎ বিহার ক্যাডারের, ভাস্কর পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের। অমরজিৎ গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন। ভাস্কর অবসর নিয়েছিলেন প্রধানন্ত্রীর সচিব হিসেবে। এর পরে দু’জনকেই একসঙ্গে, গত ফেব্রুয়ারিতে, দু’বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। অমরজিতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে তাঁকে সামাজিক প্রকল্পের কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন মেয়াদ ফুরোনোর আগেই অমরজিৎ অবসর নিলেন, তার কোনও কারণ জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কোনও কর্তা বা অমরজিৎ, কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
২০১৯-এ দ্বিতীয় মোদী সরকারের গোড়াতেই নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সে বছর বাজেটে বিদেশে বন্ড ছেড়ে ডলারে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের জেরে তাঁকে সরতে হয়েছিল বলে অনেকের মত। ওই ঘটনার জেরে অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গকে বদলি করা হয়। পরে তিনি আগাম অবসর নেন। নৃপেন্দ্রকে অবশ্য পরে অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। এর পরে, গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন পি কে সিন্হা। ক্যাবিনেট সচিব হিসেবে অবসর নেওয়ার পরে, পি কে সিন্হার জন্যই প্রিন্সিপাল উপদেষ্টার পদ তৈরি করে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নৃপেন্দ্র মিশ্র এবং পি কে সিন্হার পরে এ বার অমরজিতের ইস্তফায় তার কারণ নিয়ে আমলা মহলে প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছে।