সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’র অন্য শরিক দলগুলির সাংসদদের। ছবি: পিটিআই।
গত কালের মতো আজও সংসদের মূল প্রবেশপথ মকর দ্বারের সামনে আদানি ঘুষ-কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত চেয়ে এবং ‘মোদী ও আদানি একই সত্তা’ বলে স্লোগান দিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানাল ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ। কিন্তু সেখানে আপ, আরজেডি, উদ্ধবপন্থী শিবসেনা, ডিএমকে হাজির থাকলেও যথারীতি অনুপস্থিত তৃণমূল।
শীতকালীন অধিবেশনের গোড়া থেকেই আদানি নিয়ে সংসদ অচলের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকা বৈঠকেও গরহাজির থাকছে তারা। কক্ষ সমন্বয়ে এসপি-কেও সময়ে-সময়ে পাশে পাচ্ছে। ইন্ডিয়া-র মধ্যে ‘বিভাজনের’ এই সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “সংসদে বিজেপির কুকীর্তিকে প্রকাশ্যে আনার সার্বিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একজোট। তবে বিভিন্ন দলের সেই কৌশলকে বাস্তবায়িত করার বিভিন্ন উপায় থাকতেই পারে।”
ধর্নায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করে আজ সকালে কংগ্রেসের গৌরব গগৈ তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনকরলে সুদীপ বলেন, তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয়বঞ্চনা-সহ সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত মোট ছ’টি বিষয় নিয়েই তাঁরা সরব হবেন। এমতাবস্থায় তৃণমূলের পক্ষে এই ধর্নায় যোগ দেওয়াসম্ভব নয়।
আজ বিকেলেই বুলেটিন প্রকাশ করে স্পিকারের অফিস বলেছে, মকর দ্বার অবরোধ করে কোনও ধর্না যেন না হয়। কারণ, এর ফলে সাংসদদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে, নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে। এর আগে স্পিকার ওম বিড়লা লোকসভায় বলেন, মহিলা সাংসদেরা তাঁর কাছে এ ব্যাপারে অনুযোগ জানিয়েছেন।