ছবি: পিটিআই
দিল্লিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নিম্নগতি শুরু হয়েছে, সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এখনও দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আপাতদৃষ্টিতে বেশি মনে হলেও শেষ কয়েকদিনের তুলনায় তা কম। সেই কারণেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দিল্লি।
তবে পাশাপাশি সত্যেন্দ্র সতর্ক করে বলেছেন, এখনই কড়াকড়ি না করলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাবে না। সংক্রমণের হার যখন ৫ শতাংশের নীচে নেমে যাবে, আর দৈনিক সংক্রমণ যখন ৩ থেকে ৪ হাজার হবে, তখনই ধীরে ধীরে ছাড় মিলতে পারে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪৭ জনের। তবে সংক্রমণের হার আগের দিন ছিল ১৯ শতাংশ তা কমে হয়েছে ১৭.৭ শতাংশ। ১৪ এপ্রিলের পর থেকে এটিই সর্বনিম্ন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘দিল্লিতে ২৩ হাজার করোনা শয্যা রয়েছে হাসপাতালে। যার মধ্যে ২০ হাজার শষ্যা ভর্তি। এটা একটা বড় বিষয়। গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় হাসপাতেল ভর্তি ছিলেন সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৫০০ জন। সেই সংখ্যাটা এতটা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে এর মধ্যেও হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদা আগের থেকে সামান্য হলেও কমেছে।’’
তবে অক্সিজেনের মাত্রা নির্দিষ্ট যে পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা কমানোর পক্ষে নন সত্যেন্দ্র। বলেছেন, ‘‘এখন দিল্লি ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পায়। যদি এই পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ চলতে থাকে, তাহলে কোনও অসুবিধা হবে না।’’ পাশাপাশি, যেমন করে দৈনিক ৮০ হাজারের কাছাকাছি করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল, তেমনই করা হবে ভবিষ্যতেও। শেষ কয়েকদিনে সংখ্যাটা সামান্য কমেছে। সেই জন্য লকডাউনকে দায়ি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।