প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে করোনা টিকার মহড়া(ড্রাই রান) শুরু হবে শনিবার থেকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে টিকাকরণ কর্মসূচির আগে রাজ্যগুলিতে পরিকাঠামো কতটা তৈরি তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। টিকা দিতে গিয়ে কোন কোন চ্যালঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, ড্রাই রান-এর মাধ্যমে তা-ও খতিয়ে দেখে নিতে চাইছে সরকার।
চূড়ান্ত পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যেই ৯৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ কোটি দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। তাই রাজ্যগুলির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনগুলিকেও প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে সরকার।
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দুর্গম এলাকাগুলিতে। কারণ সেখানে পরিকাঠামো ততটা উন্নত নয়। ওই সব এলাকায় যাতে সুষ্ঠু ভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো যায়, সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক। জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের ব্যাপারে এই সংস্থাগুলোকে ছাড় দেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসবে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞ দল।
কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে টিকা প্রয়োগ সংক্রান্ত জাতীয় বিশেষজ্ঞ দল। যে হেতু টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে টিকা প্রদানকারীদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা মাথায় রেখেই রাজ্যগুলির জেলা এবং ব্লক স্তরে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।