Ram Mandir Inauguration

পুণের ফিল্ম স্কুলে গেরুয়া তাণ্ডব

সোমবার দুপুরে গেরুয়া উত্তরীয়ধারী জনা ২০-২৫ দুষ্কৃতী ক্যাম্পাসে ঢুকে মারধর চালায় এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের নিন্দা করে পোস্টার ছিঁড়তে থাকে বলে পড়ুয়াদের সংগঠন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রামমন্দির উন্মাদনার আবহে এ বার পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে (এফটিটিআইআই) গেরুয়া-বাহিনীর তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল। সোমবার দুপুরে গেরুয়া উত্তরীয়ধারী জনা ২০-২৫ দুষ্কৃতী ক্যাম্পাসে ঢুকে মারধর চালায় এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের নিন্দা করে পোস্টার ছিঁড়তে থাকে বলে পড়ুয়াদের সংগঠন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে।

Advertisement

তাদের অভিযোগ, চার জন ছাত্রছাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু পুরো তাণ্ডব-পর্বে এফটিটিআইআই-এর নিরাপত্তা রক্ষী থেকে খবর পেয়ে আসা পুলিশ পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল বলে পড়ুয়াদের সংগঠনের তরফে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।

স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাংকাপ নোওয়াম এবং জেনারেল সেক্রেটারি সায়ন্তন চক্রবর্তীও নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ আসার পরেও দুষ্কৃতীরা অনায়াসে ক্যাম্পাস থেকে সরে পড়ে। পড়ুয়ারা পরে থানায় যাওয়ার সময়ে তারা উল্টে ওই চত্বরে ভিড় করে এবং 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে থাকে। একটি ভিডিয়োতেও (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) গেরুয়া উত্তরীয়ধারী একটি দলকে ক্যাম্পাসে পোস্টার ছিঁড়ে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। উর্দিধারী রক্ষীরাও সেখানে নিষ্ক্রিয়।

Advertisement

এফটিটিআইআই-এর পড়ুয়াদের ক্ষোভ, এত খরচ করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা রক্ষী রেখে কী লাভ হল। তাঁরা জানিয়েছেন, অযোধ্যার অনুষ্ঠানের দিন ক্যাম্পাসে 'রাম কে নাম' ছবিটি দেখানো হয়েছিল। দেশের সংবিধান রক্ষার দাবিতে কয়েকটি পোস্টার পড়ে। তার ফলে ঝামেলা। ২০১৫ সালে গজেন্দ্র চৌহানকে এফটিটিআইআই-এর কর্তা নিয়োগ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ শুরু। তখন থেকেই মোদী সরকারের হাতে সেখানে গৈরিকায়নের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গেরুয়া দখলদারির সঙ্গে তাদের সংঘাতও তখন থেকেই শুরু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement