ছবি: সংগৃহীত
ফের যৌন কেলেঙ্কারিতে বিজেপি নেতা! কুলদীপ সেঙ্গারের পরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল আরও এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। এ বারের ঘটনা উত্তরাখণ্ডের। অভিযোগ, ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত একাধিক বার পড়শি এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন দ্বারাহাট কেন্দ্রের বিধায়ক মহেশ নেগী।
রাজ্যের ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অশোক কুমার জানিয়েছেন, রবিবার ওই মহিলা বিধায়ক মহেশ নেগীর বিরুদ্ধে নেহরু কলোনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে মহেশের স্ত্রী নীতাও নির্যাতিতার বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেলে’র অভিযোগ জানিয়ে নেহরু কলোনি থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে। যদিও অভিযোগ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি ওই বিজেপি বিধায়ক।
নির্যাতিতার দাবি, মহেশ তাঁর শিশুকন্যার বাবা। ডিএনএ পরীক্ষা করলেই সত্য সামনে আসবে। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ থেকে ’১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মহেশ তাঁকে নিয়ে মুসৌরি, নৈনিতাল, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ এবং নেপাল সফর করেছেন। প্রতিটি সফরেই তাঁকে ধর্ষণ করেন বিধায়ক। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, মহেশের স্ত্রী বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ২৫ লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেন তাঁকে। ২০১৬ সালে মায়ের অসুস্থতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মহেশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারিনী। সেই সূত্রেই তাঁদের পরিচয়। মহেশের স্ত্রীর অবশ্য দাবি, অভিযোগকারিণী বিভিন্ন অজুহাতে তাঁদের বাড়ি যেতেন। মহেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টাও করতেন। বিষয়টি বুঝতে পেরেই তিনি ওই মহিলার বাড়িতে ঢোকা বন্ধ করে দেন।
ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই তপ্ত রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। মহেশের ইস্তফা ও শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে কংগ্রেস। আজ মহেশের কুশপুতুলও জ্বালানো হয়। কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি প্রীতম সিংহ অবিলম্বে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, অভিযোগকারিণী যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর একটি শিশুও রয়েছে। এক জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এ ধরনের গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক, যাতে সত্য সামনে আসে।