বেশি টাকা রোজগারের জন্য সরকারি হাসপাতালের কয়েক জন প্রসূতি চিকিত্সক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। সে জন্য সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) কার্যত বন্ধ হতে বসেছে— এমনই অভিযোগ উঠল করিমগঞ্জে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে খাতায় কলমে ৪ জন প্রসূতি চিকিত্সক রয়েছেন। কিন্তু প্রতি মাসে হাসপাতালে ৬-১০টার বেশি অস্ত্রোপচার করা হয় না। এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশন বারবার করিমগঞ্জ প্রশাসনকে চিঠি পাঠালেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ, করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি অনেক প্রসূতিকে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচার করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকদের সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে থাকার নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ, অধিকাংশ সময় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কয়েক জন চিকিত্সক অন্য প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার অনুপ বিসথারি বলেন, ‘‘এখনও এ সংক্রান্ত লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি শুনছি। এ নিয়ে তা-ই তদন্ত করে দেখব।’’
গত বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সরকারি হাসপাতালের এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন। পরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে করিমগঞ্জ সদর থানায় মামলা রুজু করেন মৃতার পরিজনরা। করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হৃদরোগে ওই মহিলার মৃত্য হয়েছে। কিন্তু পরিজনরা এ কথা মানতে নারাজ। তাঁরা প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি করেছেন।