স্বামী চিন্ময়ানন্দ।
এক কলেজ ছাত্রীকে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। গত সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ওই মামলায় আজ জামিন পেলেন চিন্ময়ানন্দ।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে একটি আইন কলেজ চালায় চিন্ময়ানন্দের ট্রাস্ট্র। ওই কলেজেই পড়তেন অভিযোগকারিণী। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬সি ধারায় ওই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করেছিল। ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহার এবং ক্ষমতা প্রদর্শন করা-সহ ধর্ষণের মামলা হয়েছিল। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী আজ চিন্ময়ানন্দের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ১৬ নভেম্বর দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল শোনার পরে জামিনের আদেশ স্থগিত রাখে আদালত।
গত সেপ্টেম্বরে শাহজাহানপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বছর তেইশের ওই ছাত্রী। এক সপ্তাহ বাদে তাঁকে রাজস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে এক বছর ধরে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। পরবর্তী সময় ওই ছাত্রী বিস্তারিত জানান, কী ভাবে তাঁর উপরে নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং অভিযোগ নিতে পুলিশি ঢিলেমি কতটা ছিল।
গত বছরেই ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন চিন্ময়ানন্দ। ওই ছাত্রী নাকি ওই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। থানায় আইনের ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল চিন্ময়ানন্দের তরফে। যার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও হাইকোর্ট থেকে গত ৪ ডিসেম্বর জামিন পান ওই ছাত্রী।