সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারেরা কী ভাবে বাইরে রোগী দেখার অনুমতি পান, প্রশ্ন ইলাহাবাদ হাই কোর্টের। — প্রতীকী চিত্র।
সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। সরকারকে এ বিষয়ে একটি নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাই কোর্ট জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারেরা রোগীদের বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্থানান্তর (রেফার) করে দিচ্ছেন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে এটি একটি ভয়াবহ প্রবণতা বলে মনে করছেন বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল।
প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি চলছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানকার এক চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনি এক রোগীর ভুল চিকিৎসা করেছেন বলে দাবি করেন রোগীর পরিবার। তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের উপভোক্তা বিষয়ক দফতরে অভিযোগও জমা পড়ে। ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রয়াগরাজের মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক।
‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে আদালত জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারেরা রোগী দেখছেন না। তাঁরা কোনও বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দিচ্ছেন। শুধুমাত্র টাকার জন্য রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেওয়া হচ্ছে বলেও মনে করছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখা বন্ধ করতে সরকারকে একটি নীতি প্রণয়ন করতে হবে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
তবে সরকারি হাসপাতালে চাকরিরত অবস্থায় ওই চিকিৎসক কী ভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখার অনুমতি পান, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নীতি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যভবন থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারেরা বাইরে রোগী দেখতে পারেন।