মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।
ভোট পিছোচ্ছে না উত্তরপ্রদেশে। নির্ধারিত সময়েই তা হবে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। তিনি বলেন, “সব ক’টি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের জানিয়েছে কোভিডবিধি মেনে নির্ধারিত সময়েই ভোট করানো হোক।”
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে, শারীরিক ভাবে অক্ষম এবং কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়ি থেকেই ভোট দিতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি বুথে ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা থাকবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এক লক্ষ বুথে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
বৈঠকে ভোটের প্রচার নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কোভিডবিধি ভেঙে যাতে কোনও রকম প্রচার বা সভা না চলে সে দিকেও নজর রাখার জন্য কমিশনকে আর্জি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সব দলের কথা আমরা শুনেছি। তারা যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছে, সেগুলি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। কোনও ভোটার যেন ভোট দান থেকে বিরত না থাকেন সে দিকটাও আমরা দেখছি।”
আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। একই সঙ্গে এ বার ভোট দেওয়ার সময়ও এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হবে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আগামী বছরে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। দেশে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় এ রকম পরিস্থিতিতে রাজ্যে ভোট করানো উচিত না কি উচিত নয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু ভোট পিছনোর পক্ষে রাজি ছিল না কোনও দলই। বিষয়টি ঠিক করতে সর্বদলীয় বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সেখানেই সব ক’টি দল নির্ধারিত সময়েই ভোট করানোর পক্ষে সায় দেয়।
উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই রাজ্যের ভোটের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। যোগী সরকার থাকবে, নাকি ক্ষমতার পরিবর্তন হবে তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ভূমিকা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ছে। তা ছাড়া লখিমপুর খেরির ঘটনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধীরা উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের বদল হয় কি না, ভোট যত এগিয়ে আসছে তা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।