কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠকে বিরোধী নেতারা ছবি: পিটিআই
আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই ভারত সরকারের অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানান, অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সূত্রের খবর, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন কী ভাবে তাদের লোকেদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা-ও সবিস্তারে বিরোধী নেতাদের জানিয়েছেন। ভারত যত বেশি সম্ভব মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
তালিবানের কার্যকলাপ নিয়েও বিরোধী নেতৃত্বকে অবহিত করেছেন বিদেশমন্ত্রী। সূত্রের খবর, জয়শঙ্কর বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাদের বলেছেন, তালিবান আমেরিকা ও তার বন্ধুদের দোহায় দেওয়া প্রতিশ্রুতির খেলাপ করেছে। গত সপ্তাহে কাবুলের পতনের ঠিক আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছিল, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গনির ইস্তফার বিনিময়ে দু’সপ্তাহের জন্য অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করবে তালিবান। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েও আলোচনায় বসবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার কোনওটিই মানেনি তালিবান।
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ছাড়াও সর্বদল বৈঠকে সরকারের তরফে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য পীযুষ গয়াল এবং সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকে বিরোধী নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে, লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী প্রমুখ। বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বিরোধী নেতৃত্বের সামনে সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্ণনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সূত্রের খবর, উপস্থিত নেতারা সমস্বরে জানিয়েছেন, সমালোচনা নয় বরং এই পরিস্থিতিতে সরকারের হাত শক্ত করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
দৈনিক দু’টি করে বিমানে কাবুল থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ করছে ভারত। এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।