ছবি সংগৃহীত।
দিল্লি পুরসভার দখল নিয়েছে আম আদমি পার্টি। দোদুল্যমান হিমাচলপ্রদেশ। বুথফেরত সমীক্ষা মানলে ওই রাজ্যেও ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির। সেই পরিস্থিতিতে হাতে থাকবে কেবল গুজরাত। বিজেপির দাবি গুজরাতে যে কোনও ভাবে জিতবে দল। ওই রাজ্যের ভাল ফল ঢেকে দিতে সক্ষম হবে বাকি হারের ব্যর্থতা।
বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস অবশ্য বলেছিল, দিল্লি পুরসভায় আপের ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে বিজেপি। কিন্তু দিনের শেষে আপের থেকে কেবল ৩০টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। যা আবার অন্য দিকে হাসি ফুটিয়েছে আপ-এর গুজরাত নেতৃত্বের মুখে। সে রাজ্যে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইশান গাডভি আজ দাবি করেছেন, ‘‘গুজরাতের ফল আসতে দিন, দেখবেন বুথ ফেরত সমীক্ষা এ রাজ্যে ব্যর্থ হবে। অন্তত ১০০টির বেশি আসন জিতে সরকার গড়তে চলেছে আপ।’’ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মানেরও দাবি, ‘‘গুজরাতে বুথ ফেরত সমীক্ষার উল্টো ফল হবে।’’ অন্য দিকে, কংগ্রেস তাদের আমদাবাদের দলীয় দফতরে টাইমার লাগিয়েছে। গুজরাতে আর কত সেকেন্ড পরে ‘বিজেপি শাসনের অবসান’ হতে চলেছে, চালু রয়েছে সেই গণনা!
অন্য দিকে দিল্লিতে হারলেও বুথফেরত সমীক্ষার ফল যে সঠিক পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ, সেই সূত্র ধরেই হিমাচলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি। হিমাচলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা কতটা সত্যি হবে তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর আজ ফের দাবি করেছেন, হিমাচলে অনায়াসে জিতবে বিজেপি। তা না হলে তিনটি নির্বাচনের মধ্যে দু’টিতে হার যে বিরোধীদের প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতারা। আগামী বছর আট রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার পরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তিনটির মধ্যে দু’টি নির্বাচনে পরাজয় হলে তা যে দলের পক্ষে অশনি সঙ্কেত তা ঘরোয়া ভাবে মেনে নিতে দ্বিধা করছেন না শীর্ষ বিজেপি নেতারা। এ-ও বোঝা যাচ্ছে যে, জাতীয় নীতির পরিবর্তে যেখানেই আঞ্চলিক সমস্যা প্রাধান্য পাচ্ছে সেখানেই ব্যর্থ হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। শক্তিশালী আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে হার স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি। দিল্লির পুরভোট তার প্রমাণ। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে তখন গুজরাতের জয়কে সামনে রেখে প্রচারে নামার কৌশল নিয়েছে দল।