বিজয় মাল্য। ফাইল চিত্র।
প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের রাস্তাও প্রায় বন্ধ হয়ে গেল ঋণ খেলাপের দায়ে অভিযুক্ত লিকার ব্যরন বিজয় মাল্য। ফলে বিজয় মাল্যর ভারতে প্রত্যার্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রত্যার্পণের বিরুদ্ধে তাঁর আবেদন এর আগে ইংল্যান্ডের নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। এই সংক্রান্ত ২০১৮ সালের একটি মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আবেদন করেন বিজয় মাল্য। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
তাঁকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হতেই একাধিক যুক্তি দেখিয়ে ইংল্যান্ডের নিম্ন আদালতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাল্য। সেই মামলায় হেরে আবেদন করেন হাইকোর্টে। কিন্তু সেই মামলায় গত মাসেই হেরে যান তিনি। তারপরই ২০১৮ সালের একটি রায় নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
ভারত-ইংল্যান্ড প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী যদি কোনও ‘গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয়’ থাকে তবে তা নিয়ে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই, এটি সরাসরি ঋণ খেলাপের বিষয় বলে দাবি করেছিলেন ভারতের সংশ্লিষ্ট এক অফিসার জানিয়েছিলেন। গত মাসেই তিনি বলেন, মাল্যর প্রত্যর্পণ এখন সময়ের অপেক্ষা। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ২৮ দিনের মধ্যেই সে দেশের সরকার বিজয় মাল্যর ভারতে ফেরার নির্দেশ দিতে পারে।
বিজয় মাল্য এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে ন’ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি নিয়ে মুখ খুলেছেন। লন্ডনে বসেই তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ঋণের মূল টাকা তিনি পুরোটাই ফিরিয়ে দেবেন। বুধবারও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপের প্রশংসা করার পাশাপাশি বার্তা দেন টাকা ফেরত দেওয়ার। কিন্তু সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
মাল্যর টুইট:
এখন মাল্যর কাছে ইংল্যান্ডে সব আইনি রাস্তা প্রায় বন্ধ। তাই ৬৪ বছরের মাল্যকে ভারতের হাতে পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর মাল্যকে ফেরাতে পারলে তা কেন্দ্রীয় সরকারে একটি বড় জয় হবে বলেই মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল।