প্রতীকী ছবি।
শিক্ষক পদে সংরক্ষণ থেকে ছাড় চাইল সব ক’টি ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট’ বা আইআইএম। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
প্রথম সারির এই বিজনেস স্কুলগুলিতে এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগে কোনও সংরক্ষণ নেই। কিন্তু সম্প্রতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সব আইআইএমের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়, তারা যেন তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আসন সংরক্ষণ করে। মন্ত্রকের কিছু আধিকারিক জানিয়েছেন, আইআইএম অনুরোধ করেছে, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন কোনও আসন সংরক্ষণ করা না হয়। তারা জানিয়েছে, একটি স্বচ্ছ পদ্ধতি মেনে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তাতে সব আবেদনকারীকে সমান সুযোগ দেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষও সমান সুযোগ পান।
সব আইআইএম-ই এত দিন পর্যন্ত কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের ১৯৭৫ সালের নির্দেশিকা মেনে চলেছে। তাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মী নিয়োগে আসন সংরক্ষিত থাকে না। এই নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তাতে বলা হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন (শিক্ষক পদে সংরক্ষণ-সহ) মেনে চলতে হবে। ২০১৯-এর ৭ মার্চ থেকে ওই আইন কার্যকর হয়। গত বুধবার যোগাযোগ করা হয় সব আইআইএমের সঙ্গে। তার পরেই তারা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে।