ছবি: সংগৃহীত।
অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিমান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েই চলেছে। আজ, শনিবার ডিব্রুগড়ের সব উড়ান বাতিল করা হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-ডিব্রুগড় কামরূপ এক্সপ্রেস। শনিবার শিয়ালদহ থেকে শিলচরগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং শুক্র-শনিবার দিল্লি-ডিব্রুগড় ব্রহ্মপুত্র মেলের যাত্রাও বাতিল। শুক্রবারেই বেঙ্গালুরু ক্যান্টনমেন্ট-আগরতলা হামসফর এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
এ দিন ডিব্রুগড়ে ন’টির মধ্যে চলেছে মাত্র একটি উড়ান। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কলকাতা থেকে সকাল ৬টার পরে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে ডিব্রুগড়ে পৌঁছয়। পরে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে সে কলকাতায় ফিরেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উত্তর-পূর্ব ভারতের রিজিয়নাল এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জীব জিন্দল জানান, এ দিন সকালে যে-সব যাত্রী কলকাতা থেকে ডিব্রুগড়ে পৌঁছন, তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মী ও তাঁদের পরিবার। তাঁদের জন্য আলাদা গাড়ি ছিল বিমানবন্দরে। কিন্তু বাকি জনা পনেরো যাত্রী ডিব্রুগড়ে পৌঁছেও গাড়ির অভাবে সারা দিন বিমানবন্দরে বসে থাকেন। পরে, সন্ধ্যায় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়ি জোগাড় করে তাঁদের শহরে পাঠানো হয়েছে।
জিন্দল জানান, শুক্রবার ডিব্রুগড়ে আটটি উড়ান বাতিল হয়েছে। সমান সংখ্যক উড়ান বাতিল শনিবারেও। শুধু কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ভাড়া করা বিমানে এক দল ফৌজির ডিব্রুগড়ে পৌঁছনোর কথা। তাঁদের জন্য গাড়ি থাকবে বিমানবন্দরে।
আরও পড়ুন: সিএবি আঁচ দিল্লিতেও, জামিয়া পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠিচার্জ, খণ্ডযুদ্ধ পুলিশের সঙ্গে
জিন্দল নিজে আটকে পড়েছেন শিলংয়ে। এ দিন সেখান থেকে ইন্ডিগোর কলকাতার উড়ান বাতিল হয়েছে। জিন্দল জানান, শনিবার ইন্ডিগো শিলংয়ের উড়ান চালাবে বলে জানিয়েছে। আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত উড়ান চালানোর চেষ্টা চলছে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরের পরিস্থিতি এ দিন অনেক ভাল বলে জানান তিনি। গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে শহরে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভাবে ২০টি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কলকাতা, বাগডোগরা, দিল্লি, আগরতলা ও ইম্ফল থেকে গুয়াহাটির উড়ান বাতিল হয়েছে।