২০০২ সালে গুজরাত হিংসার একটি মামলায় বেকসুর খালাস হয়ে গেলেন বিজেপি নেত্রী মায়া। — ফাইল ছবি।
গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মায়া কোডনানি, বজরং দলের বাবু বজরঙ্গি-সহ ৬০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে ২০০২ সালের গুজরাতের নারোদা গাম মামলায় বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। আমদাবাদের বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়। ২০০২ সালে গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রিত্ব কালের এই মামলায় ১১ জন মুসলিমকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার পর শুরু হয় মামলাটি।
আদালতে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন মায়া। ২০০২ সালে আমদাবাদের নারোদা গামে ১১ জন মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে পুড়িয়ে মারায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে এই মামলাতেই মায়ার সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০০২ সালে গুজরাতের মন্ত্রী ছিলেন মায়া। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। সেই সময় সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটে।
আদালতের রায়ের পর বেকসুর খালাসপ্রাপ্তদের আইনজীবী বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। আমরা রায়ের প্রতিলিপির জন্য অপেক্ষা করছি।’’
মায়া অবশ্য গুজরাত হিংসার ঘটনায় জেলও খেটেছেন। নারোদা পাটিয়া মামলায়, যেখানে ৯৭ জনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল, তাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। পরে অবশ্য গুজরাত হাই কোর্চ থেকে তিনি মুক্তি পান। এ বার নারোদা গাম মামলাতেও খালাস হয়ে গেলেন।