Tihar Jail

কোভিড ঠেকাতে তিহাড়ে চিকিৎসা করতে চায় এমবিবিএস পাশ আল কায়দা জঙ্গি

সন্ত্রাসী মামলায় অভিযুক্ত সাবিল এমবিবিএস পাশ। ৭ বছর প্র্যাকটিসও করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ০৮:৫১
Share:

করোনার হানা তিহাডে়ও। —ফাইল চিত্র।

দাবানলের গতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে জেলের মধ্যেও। এমন পরিস্থিতিতে তিহাড় জেলে সহবন্দিদের চিকিৎসার কাজে হাত লাগানোর আর্জি নিয়ে আদালতে গেল সন্ত্রাসী মামলায় অভিযুক্ত এক আলকায়দা জঙ্গি। অনুমতি চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছে সে। জানিয়েছে, কয়েদি জীবনের আগে পেশায় চিকিৎসক ছিল। এই দুঃসময়ে জেল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে চায়।

Advertisement

বুধবার দিল্লি হাই কোর্টের বিশেষ বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানার সামনে আবেদন জমা দেয় সাবিল আহমেদ। তার আইনজীবী এমএস খান জানান, তাঁর মক্কেল এমবিবিএস পাশ। ৭ বছর প্র্যাকটিসও করেছে। জটিল রোগের চিকিৎসায় অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিহাড়ে সহবন্দিদের চিকিৎসায় তাকে সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁর মক্কেলের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান জেলের অন্দরে কোভিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে দাবি করেছেন এমএস খান।

দিল্লিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত এসে পড়েছে কেন্দ্রীয় জেল তিহাড়েও। ১১ মে পর্যন্ত সেখানে ৩৬৯ জন বন্দি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সাহাবউদ্দিন-সহ ৬ বন্দির মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। তাঁদের তিনটি জেলে বন্দি ১৮ হাজার ১৩১ জন বন্দির জন্য টিকাকরণ শুরুর আর্জি নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিহাড় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার (একিউআইএস) সদস্য সাবিলকে এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল গ্রেফতার করে। সে ভারত এবং দেশের বাইরে আল কায়দা সদস্যদের অর্থ এবং সরঞ্জামের জোগান দিত বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও, ২০০৭ সালেরর ৩০ জুন গ্লাসগো বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণেও নাম জড়িয়েছে তার। গত বছর অগস্টে সৌদি আরব থেকে ভারতে আনা হয় তাকে। প্রথমে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হেফাজতে ছিল সাবিল। সেখান থেকে তিহাড়ে আনা হয় তাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement