এনডিএ-তে ফেরার ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ওমপ্রকাশ রাজভর। ছবি: টুইটার।
‘ঘর ওয়াপসি’ হল পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ওবিসি নেতা ওমপ্রকাশ রাজভরের। বিরোধী জোট ছেড়ে রাজভর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরার কথা রবিবারই ঘোষণা করে দিলেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির (এসবিএসপি) প্রধান। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে এসবিএসপি এনডিএ-র অংশ হয়েই লড়বে।
রবিবার সকালে রাজভর টুইট করে বলেন, ‘‘বিজেপি এবং এসবিএসপি একসঙ্গে চলে এসেছে। এক সঙ্গেই দু’টি দল সামাজিক ন্যায়ের জন্য লড়াই জারি রাখবে। সুশাসন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা, পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত, দলিত, মহিলা, কৃষক, যুব সম্প্রদায় এবং সমস্ত প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে একযোগে লড়াই চলবে।’’
তার পর রাজভর লিখেছেন, ‘‘আমরা গত ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি। ঠিক হয়েছে, ২০২৪ সালের ভোটে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। দু’টি দল একসঙ্গে এলে একটি শক্তিশালী জোট তৈরি হবে।’’ এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানান রাজভর। পাল্টা টুইট করে রাজভরকে এনডিএ-তে স্বাগত জানান শাহ।
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল এসবিএসপি। রাজভরকে আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্যও করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরে গাজ়িপুরে একটি গোলমালের ঘটনার প্রেক্ষিতে ইস্তফা দেন রাজভর। ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে রাজভর জোট বেঁধেছিলেন অখিলেশের এসপির সঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি ভোটে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে ‘ক্রসভোট’ করেন রাজভর। সেই থেকেই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। রাজভর সম্প্রদায়ের মধ্যে ওপির প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে রাজভর সম্প্রদায় বহু আসনেই জয়-পরাজয় নির্ধারণের জায়গায় থাকেন। আগামী ১৮ জুলাই এনডিএ-এর বৈঠকেও রাজভর উপস্থিত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৪-এর লোকসভার লড়াই শুরুর আগে সব পক্ষই নিজেদের যতটা সম্ভব গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা জারি রেখেছে। পটনার বৈঠকের পর বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী দলগুলি আবার বৈঠকে বসছে। পাশাপাশি শাসকদল বিজেপিও এনডিএ-কে নতুন করে শক্তিশালী করার প্রয়াস নিয়েছে। সেই প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবেই পুরনো জোটশরিক রাজভরের ‘ঘর ওয়াপসি’। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজভরের মাধ্যমে বিজেপির প্রভাব আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। আগামিদিনে আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে এনডিএ-র ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়া এর ফলে আরও গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।