বিজেপি এবং কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ অখিলেশের। ছবি— পিটিআই।
এত দিন উত্তরপ্রদেশের অমেঠী এবং রায়বরেলিতে প্রার্থী দেওয়া হতো না। কিন্তু সেই দস্তুরে বদলে আসতে চলেছে। কলকাতার বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত এসপির প্রধান অখিলেশ যাদবের। তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেস জাতীয় দল, আর এসপি আঞ্চলিক দল! পাশাপাশি, কংগ্রেসেরই উদাহরণ টেনে অখিলেশ দাবি করেছেন, যে হারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে চলেছে বিজেপি, তাতেই ওই দলের শেষ হবে। ঠিক যেমন হয়েছে কংগ্রেসের।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন এসপি প্রধান অখিলেশ। কলকাতায় নেমেই কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই বৈঠকে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নেতা, নেত্রীর। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে যে জোটের কথা ভাবছেন না মমতা, অখিলেশ, তা স্পষ্ট। এই অবস্থায় এ বার দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের খাস তালুক অমেঠী এবং রায়বরেলিতেও প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন অখিলেশ। গত সপ্তাহে অমেঠী সফরে গিয়েও জানিয়েছিলেন, এত কাল যা করে এসেছেন, আগামীতে তার পুনরাবৃত্তি হবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সাল থেকে এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় না এসপি। অমেঠী থেকে এত কাল জিততেন রাহুল গান্ধী। শেষ লোকসভা ভোটে অমেঠীতে রাহুল হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে। রায়বরেলির সাংসদ সনিয়া গান্ধী। কিন্তু অখিলেশের ইঙ্গিতে স্পষ্ট, আগামী লোকসভায় সেখানে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেসকে কটাক্ষও ছুড়ে দিয়েছেন মুলায়ম পুত্র।
তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্প্রতি অমেঠী ঘুরে এলাম। আমার দল সেখানে কংগ্রেসকে জিততে সাহায্য করে এসেছে। কিন্তু আমি দেখেছি, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যখনই কোনও অবিচার হয়, কংগ্রেস কখনওই পাশে দাঁড়ায় না। আমাদের নেতাকর্মীরা দাবি তুলেছেন, এ বার এর হেস্তনেস্ত করার। আমাদের নিজেদেরই সেই আসনগুলিতে লড়ার দাবিও তুলছেন তাঁরা। যখন সময় হবে, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’’
এক দিকে বিজেপি, অন্য দিকে কংগ্রেস, দুই দল থেকেই সমদূরত্বের ঘোষিত পথ নিয়েছে এসপি। এই প্রসঙ্গেই ওঠে তৃতীয় ফ্রন্টের কথা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিরোধী ঐক্যের ফর্মুলা ফাঁস করছি না। তবে একটা কথাই বলব, আমাদের সকলেরই লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো।’’
অখিলেশের দাবি, যে ভাবে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধীদের দমন করতে ব্যবহার করছে, তাতেই মোদী সরকারের পতন ঘটবে। তাঁর আরও দাবি, কংগ্রেসও ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করত। সেই থেকেই তার পতনের শুরু। বিজেপির ক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।