অমৃতপালের উদ্দেশে আত্মসমর্পণ করার বার্তা সর্বোচ্চ শিখ সংগঠনের। ফাইল চিত্র।
নানা বেশে, নানা স্থানে তাঁর দেখা মিললেও এখনও পুলিশের হাতে অধরাই থেকে গিয়েছেন পঞ্জাবের খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহ। এ বার অমৃতপালকে আত্মসমর্পণ করে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার ‘পরামর্শ’ দিল শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সংগঠন অকাল তখ্ত। অকাল তখ্তের প্রধানকে ‘জাঠেদার’ বলা হয়। বর্তমান জাঠেদার জ্ঞানী হরপ্রীত সিংহ বলেন, “যদি অমৃতপালকে এখনও পুলিশ ধরতে না পেরে থাকে, তবে আমি তাঁকে বলব পুলিশের কাছে এসে ধরা দিন এবং তদন্তে সহযোগিতা করুন।” পুলিশ কেন এক জন অভিযুক্তকে এক দিনেও গ্রেফতার করতে পারল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অকাল তখ্তের আলাদা গুরুত্ব এবং প্রভাব রয়েছে। তাই অমৃতপালের উদ্দেশে তাদের এই বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৮ মার্চ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অমৃতপালকে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ওই দিন মাত্র ১২ ঘণ্টায় ৫টি গাড়ি বদলে এবং একাধিক বার পোশাক বদলে পুলিশকে ধোঁকা দেন অমৃতপাল। নজরদারি ক্যামেরায় এক সহযোগীর সঙ্গে তাঁকে যে বাইকে দেখা গিয়েছিল, সেটি পরে উদ্ধার করা হয়। পঞ্জাব থেকে হরিয়ানা হয়ে অমৃতপাল দিল্লি চলে গিয়েছে বলে খবর আসে পুলিশের কাছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গত শুক্রবার নয়াদিল্লির আইএসবিটি বাস টার্মিনাসের কাছে দেখা গিয়েছে অমৃতপালকে। নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি।
মাস খানেক আগে পঞ্জাবের আজনালা থানায় খলিস্তানপন্থীদের তাণ্ডবের পরে ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপালের নাম সামনে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা, অপহরণ-সহ একাধিক মামলায় দায়ের ছিল। গত শনিবার থেকে তাঁকে খুঁজতে নামে দিল্লি ও পঞ্জাবের পুলিশ। এ দিকে গ্রেফতারি এড়াতে সুচতুর কৌশলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অমৃতপাল। তাঁর চাতুরি হার মানিয়ে দেয় হলিউডের চিত্রনাট্যকেও। সূত্রের দাবি, প্রতি ১২ ঘণ্টায় জায়গা বদল করছেন অমৃতপাল। অন্তত ৫ বার গাড়ি বদলেছেন আর অগুনতি বার বদলেছেন পোশাক, পাগড়ি। অমৃতপালের খোঁজ না-পেলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর দেড়শোর বেশি সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।