শরদ-সুপ্রিয়া-অজিত। গ্রাফিক-তিয়াসা দাস।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু, অজিত পওয়ারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? প্রথমে দূরত্ব তৈরি করেছেন শরদ পওয়ার। এনসিপির পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে অজিতকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরদ পওয়ার। শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভাইপোকে দল থেকেই বহিষ্কার করতে পারেন শরদ পওয়ার। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে এনসিপির একাধিক সূত্রে।
শুক্রবার রাতে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের বৈঠকেও হাজির ছিলেন অজিতও। কিন্তু তখনও কেউ আঁচ করতে পারেননি, তলে তলে কী খেলা খেলতে চলেছেন শরদের ভাইপো অজিত। প্রথমেই বিজেপির সঙ্গে অজিতের এই হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত থেকে দলকে আলাদা করে ফেলেছেন বর্ষীয়ান শরদ। টুইটারে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘অজিত পওয়ারের বিজেপিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত, দলের নয়।’’
তার পরের সিদ্ধান্ত, অজিতকে এনসিপির পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরানোর ঘোষণা শরদ পওয়ারের। শরদ পওয়ার দাবি করেছেন, অজিত পওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করলেও দলের সিংহভাগ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এবং তাঁর সিদ্ধান্ত মতোই কাজ করবেন। আবার অজিত লিখিত সমর্থনপত্র দিয়েছেন ফডণবীসকে। শরদ পওয়ার এনসিপি সুপ্রিমো হলেও পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন করেন বিধায়করা। ফলে বিধায়করা অজিতের সঙ্গে থাকলে তাঁর পক্ষে সেই পদ ধরে রাখা কঠিন হবে না।
আরও পড়ুন-সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বললেন উদ্ধব || শিবসেনার নেতৃত্বেই সরকার হবে, ‘নিশ্চিত’ শরদ
শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের রণকৌশল ঠিক করতে আজ সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে এনসিপি। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে দল থেকেই বহিষ্কার করা হতে পারে অজিতকে। কিন্তু তাতেও কি অজিতের বিজেপির সঙ্গে থাকা বা উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে যাওয়া আটকাবে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিধায়করা তাঁর সঙ্গে থাকলে আপাতত কোনও সমস্যা হবে না অজিতের।
আরও পড়ুন-সত্যিই? কী করে হল! ঘুম ভাঙতেই স্তম্ভিত দেশ, ২৮ দিনের মহা-নাটকের ইতি হল কি?
কিন্তু অজিতের ভবিষ্যৎ যাই হোক, এনসিপি যে অজিতের এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ, তার ইঙ্গিত মিলেছে দলের নেতাদের কথায়। এনসিপি আড়াআড়ি ভেঙে দু’ভাগ হয়ে যেতে পারে বলেও দলের একাংশের মত। শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে অজিত পওয়ার ইস্যুতে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে লিখেছেন, ‘‘দল এবং পরিবার দুটোই আজ ভেঙে গেল।’’ অন্য এক জায়গায় সুপ্রিয়া লিখেছেন, ‘‘কাকে বিশ্বাস করবেন? জীবনে কোনও দিন এত বড় প্রতারণার শিকার হইনি। সমর্থন করেছি, ভালবাসা দিয়েছি, আর দেখুন তার প্রতিদানে কী পেলাম?’’