(বাঁ দিকে) শরদ পওয়ার এবং (ডান দিকে) অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
কাকা শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরে এই প্রথম তাঁর সরকারি বাসভবন ‘সিলভার ওক’-এ গেলেন মহারাষ্ট্রের নতুন অর্থমন্ত্রী অজিত পওয়ার। গত শুক্রবার শরদের স্ত্রী প্রতিভা পওয়ারের হাতে একটি অপারেশন হয় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। তাঁকে দেখতেই কাকার সরকারি বাসভবনে পৌঁছন অজিত। যদিও তাঁর এই সফর ঘিরে রাজ্যে রাজনৈতিক গুঞ্জনও শুরু হয়েছে পুরোদমে।
মাত্রই দিন কয়েক আগে, প্রতিভা পওয়ারের একটি অপারেশন হয়। তার পরে তিনি বাড়িতে ফিরে এসেছেন। বরাবরই কাকীর অত্যন্ত অনুগত এবং তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে শনিবারই তাঁকে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যান অজিত। এনসিপির অন্দরে ‘কাকী’ হিসেবে পরিচিত প্রতিভার সব স্তরের নেতা-কর্মীদের উপরে বিপুল প্রভাব থাকলেও কোনও দিনই সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেননি তিনি। তবে, ২০১৯ সালে দলের অনুমোদন ছাড়াই বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার পরে প্রতিভার কথাতেই ফের শরদের কাছে ফিরে আসেন অজিত।
চলতি মাসের ২ তারিখে আচমকাই এনসিপি ভেঙে বেশ কয়েক জন বিধায়ককে নিয়ে বিদ্রোহ করে বসেন অজিত। যোগ দেন মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবসেনা এবং বিজেপি জোটের সরকারে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অর্থ দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অজিতের বিদ্রোহের পরে ক্ষুব্ধ শরদ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি নতুন করে এনসিপি গড়ে তোলার কথাও বলেন। তবে অনেকেই সে সময় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভারতীয় রাজনীতির বর্তমানে প্রবীণতম নেতাটির সম্মতিতেই বিজেপি জোটের সরকারে যোগ দিয়েছেন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ অজিত। পাশাপাশি শরদের বিরুদ্ধেও একাধিক দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সেই সব তদন্তে রাশ টানতেই শরদের কথায় তাদের হাত ধরেছেন অজিত।
শনিবার কাকিমা প্রতিভার কাছে অজিতের যাওয়ার পরে ফের সেই গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও শরদ বা অজিত দু’পক্ষেরই ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক কথা হয়নি। কেবল মাত্র কাকিমাকে দেখতেই ‘সিলভার ওক’-এ পা রেখেছিলেন অজিত পওয়ার।