মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী হতে পারেন অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র
দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে শপথ নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিন দিনের জন্য। কিন্তু সেই সরকার টেকেনি। আবার উদ্ধব ঠাকরের সরকারেও মন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন অজিত পওয়ার। জল্পনা ছিল, আবার উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সমীকরণ পাল্টে হতে পারেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কার্যত উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতে চলেছেন এনসিপি সুপ্রিম শরদ পওয়ারের ভাইপো।
এই অজিত পওয়ারই রাতারাতি শিবির পাল্টে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শপথ পর্যন্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু সংখ্যা জোগাড় করতে না পারায় তিন দিনেই সেই সরকার ভেঙে যায়। উল্টো দিকে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের সরকার গঠনের সম্ভাবনা জোরদার হতেই অজিত ফিরে আসেন নিজের দল এনসিপি-তে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন, জোট সরকার গঠনে শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসকে এক বন্ধনীতে আনার অন্যতম কারিগর ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। সেই শরদ পওয়ারের চাপেই অজিতকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হয়েছে উদ্ধবকে।
কিন্তু ‘সুযোগসন্ধানী’ অজিত পওয়ারকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে পারে উদ্ধব ঠাকরের সরকার, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার ২০১৩ সালে ৭০ হাজার কোটির সেচ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে অজিতের বিরুদ্ধে। বিপুল অঙ্কের দুর্নীতিতে অভিযুক্তকেই অর্থমন্ত্রক দেওয়া নিয়েও কানাঘুষো চলছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে পারে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি নিয়ে। যদিও একটি অংশের মতে, কাকা শরদ পওয়ারের প্রভাবেই অজিতকে এত গুরুত্বপূর্ণ দফতর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন উদ্ধব।
সোমবারই উদ্ধব সরকারের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়েছে। তিন দলের মোট ৩৫ জন শপথ নিয়েছেন। তবে দফতর বণ্টন এখন হয়নি। তাই এ নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা চরমে। তিন দলের নেতাদের সূত্রে খবর, অজিত পওয়ারকে অর্থমন্ত্রী করা হলে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন এনসিপির জয়ন্ত পাটিল। তার সঙ্গে তাঁকে দেওয়া হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আবার অন্য একটি সূত্রের দাবি, তাঁর জন্য বরাদ্দ হতে পারে সেচ দফতরও। জীতেন্দ্র অওহরের হাতে যেতে পারে আবাসন দফতর।
জোট সরকারে ৫৬ আসন পাওয়া শিবসেনা পেতে পারে ১০টি দফতর। ৫৪ বিধায়কের এনসিপির হাতে থাকতে পারে ৭টি দফতর, যদিও সেগুলির সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দিকে কংগ্রেসকে দেওয়া হতে পারে ৬টি দফতর। কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪৪টি আসন।