বদরুদ্দিন আজমল
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) প্রধান বদরুদ্দিন আজমল সুগন্ধী উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। অসমের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় উপহারের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। শুধু নরেন্দ্র মোদীকে নয়, অমিত শাহকেও ওই উপহার পাঠিয়েছিলেন তিনি। যদিও মোদী-শাহ সেই সুগন্ধী ব্যবহার করেছেন কি না তা জানেন না বদরুদ্দিন। অসমের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বধীন জোটের অন্যতম মুখ তিনি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, অসমের ভোটে বিজেপি মেরুকরণের খেলা প্রবল ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি-র প্রচার ঘটনাবহুল হলেও তাতে সারবত্তা কম বলে মত বদরুদ্দিনের।
বদরুদ্দিনের বাবার সুগন্ধীর দোকান ছিল। সেই ব্যবসার উত্তরাধিকারী তিনি। দোকানের সুগন্ধীই প্রতিপক্ষের শীর্ষ ২ নেতাকে পাঠিয়েছিলেন। বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে দেখা হলে সুগন্ধী উপহার হিসাবে দিয়ে থাকেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘মোদীজি এবং অমিত শাহকে সুগন্ধী উপহার দিয়েছিলাম। ওঁরা যদি ব্যবহার না করেন, আমি কী করব? যখনই কোনও সিনিয়র নেতার সঙ্গে দেখা হয়। আমি সুগন্ধী উপহার দিই।’’
৭১ বছর বয়সি এই নেতা নিজেকে ‘বিজেপি-র একমাত্র লক্ষ্য’ হিসাবে প্রচার করেন। সেই বদরুদ্দিন এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বদরুদ্দিন আজমল একটা ইস্যু। তাই ওরা মেরুকরণ করতে চাইছে। মেরুকরণের জন্য বিজেপি সাধারণ মানুষকে বলছে, দাড়িওয়ালা বা টুপিওয়ালা মুখ্যমন্ত্রী হলে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসবে।’’ বিজেপি-র প্রচার অনেকটাই ফাঁপা। তাতে সারবত্তা কম বলেও মত অসমের এই নেতার। তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অসমবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি ওরা (বিজেপি)। দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কারখানা খোলার কথা বলেছিল। কিন্তু খোলেনি। কিছুই করেনি। ওদের কোনও কথাও বলার নেই। প্রত্যেক প্রশ্নের একটাই জবাব ‘বদরুদ্দিন আজমল’।’’