প্রতীকী চিত্র।
করোনা সংক্রমণের সঙ্গে বায়ু দূষণ যুক্ত হলে বাড়তে পারে মৃত্যু হার। এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। বুধবার এই আশঙ্কার কথা জানালেন তিনি। দিওয়ালি আসছে। সাধারণত শীতের সময় দেশের বেশিরভাগ বড় শহরে দূষণের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। এ বার বাজি পোড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান বিভিন্ন মহল। সেই পরিস্থিতিতে এই বক্তব্য নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে।
সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, শীতের সময়ে দূষণ বেড়ে গেলে বাতাসে করোনা ভাইরাসের আয়ুও অনেকটা বাড়তে পারে। সেই কারণে অনেক বেশি পরিমাণে লোক করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। দু’ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস, তাই চিন্তা আরও বাড়ছে।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকর স্পুটনিক ভি, দাবি রাশিয়ার
তিনি জানিয়েছেন, শীত কালে দূষণের পরিমাণ বাড়লে বায়ুতে দূষণ কণা অনেক বেশি সময় থাকতে পারে। সেই সূত্র ধরেই বলা যায়, বাতাসে ভাসমান দূষণ কণা মাটির কাছাকাছি, মানুষের নাগালের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। তার সঙ্গে করোনার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটা? তিনি বলেন, ‘‘দূষণের কারণে বাতাসে করোনা ভাইরাসের আয়ুও অনেকটা বাড়তে পারে। আর ভাইরাসের আয়ু বাড়লেই সেটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়। এ ছাড়া বায়ুদূষণ এমনিতেই ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি করতে পারে।’’
আরও পড়ুন : উৎপাদন এবং রফতানি চাঙ্গা করতে ২ লক্ষ কোটির প্যাকেজ অনুমোদন কেন্দ্রের
দূষণের সঙ্গে সার্স গোষ্ঠীর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যোগ কতটা? সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০০২-’০৩ সার্স ছড়িয়ে পড়ার পর চীনে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, দূষণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সার্স ছড়িয়ে পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও কোভিড ছড়িয়ে পড়ার সময় একটি সমীক্ষা চালানো হয়, সেখানেও দেখা যায়, দূষণের ফলে রোগের প্রকোপ বেড়েছে।