এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বৃদ্ধা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বৃদ্ধা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় নয়া মোড়। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা বলে দাবি করলেন তাঁর বাবা। একই সঙ্গে যুবককে ব্ল্যাকমেল করা হয়ে থাকতে পারে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা।
গত নভেম্বর মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক ৭২ বছর বয়সি বৃদ্ধা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে ৩৪ বছর বয়সি মুম্বইয়ের যুবক শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। চাকরি হারিয়েছেন ওই যুবক। তাঁকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শঙ্করের বাবা শ্যাম মিশ্র বলেছেন, ‘‘তিনি (বৃদ্ধা, যাঁর গায়ে প্রস্রাব করা হয়েছে বলে অভিযোগ) কিছু টাকা চেয়েছিলেন। সেই মতো টাকা দেওয়া হয়েছিল ওঁকে। তার পর জানি না, কী হল। হয়তো তিনি যা চেয়েছিলেন, পুরোটা হয়তো পাননি, তাই রেগে গিয়েছেন। এটাও হতে পারে যে ওকে (অভিযুক্ত যুবক) ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর বিমানের মধ্যে মত্ত অবস্থায় ওই যুবক বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। ঘটনার এত দিন পরে কেন অভিযোগ দায়ের করা হল, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, ওই বৃদ্ধা ও যুবক নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিয়েছিলেন। সে কারণেই তারা প্রথমে অভিযোগ দায়ের করেনি।
গত ২৮ নভেম্বর বৃদ্ধার দাবি মতো তাঁকে টাকা অনলাইনে পাঠান বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১ মাস পর গত ১৯ ডিসেম্বর বৃদ্ধার কন্যা সেই টাকা ফেরত পাঠান। অভিযুক্ত যুবকের বাবা এ-ও বলেছেন যে, অনুসন্ধান কমিটিতে কেবিন ক্রুর যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, শঙ্কর দু’রাত ঘুমাননি। বিমানসংস্থার তরফেই তাঁকে মদ দেওয়া হয়েছিল। যা খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর পুত্র যথেষ্ট ভদ্র। ফলে এ কাজ তিনি করতে পারেন না বলেও দাবি করেছেন অভিযুক্তের বাবা।
প্রস্রাবকাণ্ডের পর বৃদ্ধার কাছে অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে গিয়েছিলেন বিমানের ক্রুরা। সেই সময় বৃদ্ধার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই সময় যুবকের গ্রেফতারির দাবি জানান বৃদ্ধা।