সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে ওই প্রৌঢ়া বেঁচে যেতেন বলে আক্ষেপ করেছেন তাঁর পুত্র। প্রতীকী ছবি।
অসুস্থ প্রৌঢ়া এবং তাঁর পুত্রকে বাস থেকে জোর করে নামানোর অভিযোগ উঠল ওড়িশায়। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ার। ভুবনেশ্বর থেকে ব্রহ্মপুর যাচ্ছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। শনিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থতার জন্য পুত্র সুজিতের সঙ্গে ভুবনেশ্বর এমসে গিয়েছিলেন রুনু সোয়াইন। চিকিৎসা করিয়ে সেখান থেকে একটি বেসরকারি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে ওই প্রৌঢ়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মায়ের অসুস্থতা দেখে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাসচালককে অনুরোধ করেন সুজিত। অভিযোগ, এর পরই জোর করে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে গঞ্জাম শহরের দূরত্ব প্রায় ৪ কিমি।
জাতীয় সড়কে কারওর থেকে সাহায্য পাননি বলে দাবি করেছেন সুজিত। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করতে পারেননি তিনি। অনেক পরে খবর পেয়ে সেখানে যান স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। তার পর ওই প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা ওই প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো হলে ওই প্রৌঢ়া বেঁচে যেতেন বলে আক্ষেপ করেছেন তাঁর পুত্র। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।