(বাঁ দিক থেকে) অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে আসন্ন উপনির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘোষণা করে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘আমরা বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থীদের সমর্থন করব।’’
সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সভাপতি অখিলেশ যাদব বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে ন’টি বিধানসভা আসনের আসন্ন উপনির্বাচনেই ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থীরা তাঁদের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘সাইকেল’ নিয়ে লড়বে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই দাবি মেনে নিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল।
অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের সময় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার জানিয়েছেন, যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতায় যে দল এগিয়ে রয়েছে, সেই দলকেই বিরোধী জোটের সমর্থন করা উচিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, উত্তরপ্রদেশেই প্রথম মমতার সেই ‘রফাসূত্রের’ প্রতিফলন দেখা গেল।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে লেখেন, ‘‘ইন্ডিয়ার প্রার্থীরা আমাদের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘সাইকেল’-এ আসন্ন উপনির্বাচনে ন’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পরেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। লেখেন, ‘‘কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি একজোট হয়ে একটি বড় জয়ের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উপনির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া’ জয়ের একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চলেছে।’’
এআইসিসির একটি সূত্রের খবর, ন’টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়তে চাইলেও এসপি দু’টির বেশি ছাড়তে রাজি হয়নি। সে দু’টি আসন বিজেপির ‘নিরাপদ’ বলে চিহ্নিত। এই নিয়ে টানাপড়েনের আবহে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এলেন রাহুল-খড়্গেরা। প্রসঙ্গত, এ বারের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে রাহুল গান্ধীর দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়েছিলেন অখিলেশ। সে রাজ্যের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৭টিতে জিতে একক বৃহত্তম দল হয় এসপি। সহযোগী কংগ্রেস জেতে ছ’টিতে।
অন্য দিকে, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি জেতে ৩৩টি লোকসভা আসনে। সহযোগী আরএলডি (রাষ্ট্রীয় লোকদল) দু’টি, আপনা দল(এস) একটিতে। ২০২৯ সালে দেশের বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। অনেকে মনে করছেন, তার আগে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে অখিলেশের কৌশল ফলপ্রসূ হল।