প্রতীকী চিত্র।
সন্তান সহ স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার। প্রায়শই তিনি এই হুমকি দিতেন। বাধ্য হয়ে স্ত্রী দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের। সব শুনে মেট্রোপলিটন আদালত ওই ব্যক্তিকে বাড়ি না ঢোকার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাতের আমদাবাদে।
আমদাবাদের আমরাইওয়ারি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকেন ওই মহিলা। ১৯৯৪-এ বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। তিনটি সন্তানও হয়েছে। কিন্তু ২০১২ থেকে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এক ছাদের তলায় থাকলেও তাঁদের মধ্যে বনিবনা ছিল না। স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ। তার জেরেই দাম্পত্য বিঘ্নিত। সে বিষয়ে স্বামীকে বলার পর থেকেই স্বামী সন্তান সহ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন।
তার পরই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। যদিও আদালতে ওই ব্যক্তি স্ত্রীর অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, স্ত্রী তাঁকে অযথা সন্দেহ করেন। এমনকি, তাঁর মায়ের উপর অত্যাচার করার অভিযোগও স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনেন তিনি। তিনি বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চান না তিনি। কিন্তু বাড়ির কাছে মায়ের সঙ্গে থাকতে চান।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে সুন্দর কাণ্ড, হনুমান ভরসায় কেজরীরা
সব শুনে আদালত স্ত্রীর অভিযোগকেই মান্যতা দেয়। আদালত জানায়, ওই মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। খোরপোশ দেওয়া এড়ানোর জন্য ওই ব্যক্তি রোজগার কমিয়ে দেখাচ্ছে বলেও জানায় আদালত। বিচারক তাঁকে বাড়িতে না ঢোকার নির্দেশ দেন। সঙ্গে প্রতি মাসে চার হাজার টাকা স্ত্রীকে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশি গরু নিয়ে গবেষণা চায় বিজ্ঞান মন্ত্রক