আহমেদ পটেল। ফাইল চিত্র।
চার দিনের মাথায় দ্বিতীয়বার আহমেদ পটেলের বাড়িতে পৌঁছল তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শনিবারের পর আজ ফের সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টাকে ইডি প্রায় আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, দলের কোষাধ্যক্ষকে ইডি-র জেরা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতৃত্ব নীরব। আহমেদ শনিবারই বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার সঙ্কটে পড়লেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু কংগ্রেসের কেউই এখনও তাঁর পাশে দাঁড়াননি। এক মাত্র কপিল সিব্বল একে মোদী সরকারের ‘আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
স্টার্লিং বায়োটেকের দুই মালিক নিতিন ও চেতন সন্দেশেরার বিরুদ্ধে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ১৫ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে তদন্ত চলছে। দুই ভাই দেশ ছেড়ে নাইজিরিয়ায় গা-ঢাকা দিয়েছেন। একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দুই পলাতক অভিযুক্তের যোগাযোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। সিবিআই-ইডি সূত্রের দাবি, ওই সংস্থারই এক কর্মীকে জেরা করে আহমেদ পটেলের নাম জানা যায়। আহমেদের ছেলে ফয়সল পটেল ও জামাই ইরফান সিদ্দিকিকেও টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ওই কর্মী। আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার। কিন্তু পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি-র তদন্তের সময়ে কংগ্রেস যে ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল, সে ভাবে আহমেদের পাশে কংগ্রেস নেই কেন, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।