Rajasthan

Rajasthan: ‘রিসর্ট-বন্দি’ বিধায়কেরা! রাজ্যসভা ভোটে ‘ঘর’ আগলাতে তৎপরতা রাজস্থান কংগ্রেসে

রাজস্থান থেকে হরিয়ানার রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, মহারাষ্ট্রের মুকুল ওয়াসনিক এবং উত্তরপ্রদেশের প্রমোদ তিওয়ারিকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ১০:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। হরিয়ানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি পদ্ম-শিবিরের তরফে ‘বাড়তি প্রার্থী’ দেওয়া হয়েছে রাজস্থানেও। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের ‘রিসর্ট-বন্দি’ রাখার কৌশল নিচ্ছে কংগ্রেস। মরুরাজ্যের দলীয় বিধায়কদের পাঠানো হচ্ছে উদয়পুরের একটি রিসর্টে। সম্প্রতি ওই রিসর্টেই দলের চিন্তন শিবির হয়েছিল।

আগামী ১০ জুন রাজস্থানে ৪টি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে। পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে কংগ্রেসের দু’টি এবং বিজেপির একটিতে সরাসরি জেতার কথা। চতুর্থ আসনটিতে দ্বিতীয় পছন্দের ভোটে ফলাফল নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে রাজ্যে শেষ মুহূর্তে এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের মালিক সুভাষ চন্দ্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ওই রাজ্যের চারটি আসনের মধ্যে বিজেপির একটি আসনে জয় নিশ্চিত। বাকি তিনটি আসনে দলীয় প্রার্থী রণদীপ সুরজেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিক ও প্রমোদ তিওয়ারির জয় নিশ্চিত বলে প্রাথমিক ভাবে ধরে নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু ঘনশ্যাম তিওয়ারির পরে সুভাষ চন্দ্রের নাম ঘোষণা করে ওই রাজ্যের নির্বাচনে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে বিজেপি।

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, দলের দ্বিতীয় প্রার্থী সুভাষকে জেতাতে নির্দল, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সঙ্গে তলে তলে আলোচনা শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি রয়েছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধেরা। কংগ্রেসের তিন প্রার্থীই ভিনরাজ্যের হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের উপদেষ্টা তথা বিধায়ক সনম লোধা। টুইটারে লিখেছেন, ‘কংগ্রেস নেতৃত্ব জানাক, রাজস্থান থেকে কাউকে প্রার্থী না করার কারণ কী?’

এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিজেপি রাজস্থানে রাজ্যসভার নির্বাচন দেখার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে। ফলে আশঙ্কায় ‘হাত’ শিবির। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের সঙ্গে সচিন পাইলটের দ্বন্দ্বের জেরে ২০২০-তে পতনের কিনারায় দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস সরকার। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর তৎপরতায় পাইলট শিবির নিরস্ত হলেও এখনও দলের অন্দরে ফাটল রয়ে গিয়েছে। বিজেপি এ বার তার সুযোগ নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

Advertisement

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement