রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।
প্রথম ভারত জোড়ো যাত্রায় কন্যাকুমারী থেকে হেঁটে কাশ্মীরে পৌঁছেছিলেন রাহুল গান্ধী। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ এবং জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরির পরে সেটাই ছিল কাশ্মীর উপত্যকায় প্রথম রাজনৈতিক সমাবেশ। ৩৭০ রদের পরে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ রাহুল শ্রীনগরে পৌঁছলেন। তাঁর পাখির চোখ জম্মু-কাশ্মীরের ভোটে ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-র সঙ্গে জোট গড়ে বিজেপির সঙ্গে লড়াই।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল আজ বিকেলে শ্রীনগরে পৌঁছেছেন। আগামিকাল তিনি কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার পরে জম্মুতে গিয়ে তিনি দেখা করবেন সেখানকার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও থাকবেন। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হওয়ার কথা। কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে থাকলেও, এখনও জম্মু-কাশ্মীরের ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসি-র সভাপতি ফারুখ আবদুল্লা প্রথমে জোট হবে না বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু সদ্য নিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব দলের সঙ্গে হাত মেলাতে তাঁরা প্রস্তুত। এনসি-র সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও এনসি জোট বেঁধে লড়েছিল। কংগ্রেস জম্মুর দু’টি ও লাদাখের একটি আসলে লড়েছিল। তিনটিতেই তারা পরাজিত হয়। কাশ্মীরের তিনটি আসনে লড়ে এনসি দু’টি জিতেছিল। অন্য আসনে ওমর আবদুল্লা নিজেই ইঞ্জিনিয়ার রশিদের কাছে হেরে যান। রশিদ এখন সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের মামলায় জেলেবন্দি। ভোটের আগে তিনি জামিন পেলে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক অঙ্ক বদলে যেতে পারে বলে কংগ্রেস মনে করছে।