প্রতীকী ছবি।
লস্কর, জইশের পর কি এ বার আইসিস! ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে প্রস্তুতির মধ্যেই আইসিস জঙ্গি সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হল রাজধানী থেকে। শনিবার রাতে দিল্লির বাটলা হাউস থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহ ওই যুবক দিল্লিতে থেকে আইসিসকে অর্থের জোগান দিত। সেই সঙ্গে তাদের ‘ফিল্ড ওয়ার্ক’ অর্থাৎ ‘মাঠে’ নেমে তথ্য সংগ্রহ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সাহায্য করত।
অগস্টের শুরুতেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি ১০ পাতার একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে বা তার আগে রাজধানীতে জঙ্গি হামলা হতে পারে। কারা হামলা করতে পারে তার একটি সম্ভাব্য তালিকাও দিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাতে সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইসিসের নাম না থাকলেও লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গিদের নাম ছিল। সতর্ক করা হয়েছিল কিছু মৌলবাদী সংগঠনকে নিয়েও। শনিবার রাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা তল্লাশি অভিযান চালান দিল্লিতে। সেই প্রক্রিয়ায় ধরা পড়ে ওই যুবক। সূত্রের খবর দিল্লির বাটলা হাউসের যোগাবাই ভবনে একজন ছাত্রের পরিচয়ে গত কয়েক দিন ধরেই থাকছিল সে। যদিও সে আসলে বিহারের বাসিন্দা।
নাম মহসিন আহমেদ। বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা মহসিনের বাবার নাম মহম্মদ শাকিল আহমেদ। এনআইএ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইসিসের ভাবধারায় দীক্ষিত মহসিন। ভারতে সে আইসিসের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে। এমনকি, ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার আইসিসের সমর্থকদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি মারফত সিরিয়ায় পাঠায়ও সে। পাশাপাশি আইসিসের প্রয়োজন অনুযায়ী দরকার মতো তথ্য সংগ্রহ বা পরিকল্পনা রূপায়নে সাহায্য করার কাজও করত মহসিন।
গত ২৫ জুন দিল্লিতে দাঙ্গায় মদত দেওয়ার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল এনআইএ। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কিছু ধারায় বেআইনি কার্যকলাপ, উসকানিমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। স্বাধীনতা দিবসের আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই মামলাগুলি তদন্তপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, বছর চারেক আগেও ২০১৮ সালে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে আইসিসের মডিউল চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১০ জনকে।